ভেঙে পড়েছে লোহার বিম। নিজস্ব চিত্র
অরিজিত গুপ্ত, হাওড়া: বিপজ্জনক বাড়ি হিসেবে আগেই ঘোষণা করেছিল হাওড়া পুরসভা। তারপরেও ওই বাড়িতেই থাকছিলেন বাসিন্দারা। জরাজীর্ণ বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ল। এছাড়াও মোটা লোহার বিম ভেঙে পড়ল একটি ঘরের মধ্যে। বরাতজোরে প্রাণে বাঁচলেন ঘরে থাকা বাসিন্দারা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া পুরসভা এলাকায়। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
হাওড়া পুরসভার বৈষ্ণব মল্লিক লেনে প্রায় একশো বছরের পুরনো ওই তিনতলা বাড়ি। বহু বছর ধরেই ওই বাড়ি বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। জরাজীর্ণ ওই বাড়িটিকে অনেক আগেই ‘বিপজ্জনক’ বলে ঘোষণা করেছিল হাওড়া পুরসভা। বাসিন্দাদের সেখান থেকে সরে যেতেও বলা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও বাসিন্দারা ওই বাড়িতেই থাকছিলেন। অভাব বা অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকার কারণে কি ওইসব পরিবার ওই বাড়িতেই ছিল? সেই প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গিয়েছে, বাড়ির মালিক-সহ আট-দশ ঘর ভাড়াটে পরিবার থাকে ওই বাড়িতে। বিপজ্জনক বাড়ি ঘোষণার পরেও মালিক ওই বাড়ি সারানোর কোনও চেষ্টাই করেনি বলে অভিযোগ। প্রতি বৃষ্টির মরশুমে বাড়ির পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে যায় বলে খবর। বর্ষাকালের বৃষ্টি চলছে এখনও রাজ্যজুড়ে। দিন কয়েক ধরে নিম্নচাপের বৃষ্টি চলছে হাওড়াতেও। আজ, বুধবার সকালে ওই বাড়ির একটা অংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। দোতলার একটি ঘরের ভিতরের লোহার বিম ভেঙে পড়ে। ওই ঘরে তখন চারজন বাসিন্দা ছিলেন। কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে যান তাঁরা। বাড়ি ভেঙে পড়ার আতঙ্কে লোকজন রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।
ভাড়াটিয়াদের বক্তব্য, তারা গরিব মানুষ। তাই কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই বলে বাড়িটি বিপদজ্জনক হওয়া সত্ত্বেও ওখানে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন। অভিষেক গুপ্তা নামে এক প্রতিবেশী জানালেন, বাড়িটি আচমকাই ভেঙে পড়ায় আতঙ্কিত তাঁরাও। যে কোনও সময় তাঁদের বাড়ির উপরেও বাড়িটি ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা। তাঁর কথায়, এ “ব্যাপারে প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।” তারক সাউ নামে বাড়িতে বসবাসকারী এক বাসিন্দা জানালেন, বছর তিনেক আগেও একইভাবে বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়েছিল। বারবার বাড়ির মালিককে বলা সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.