শুভদীপ রায় নন্দী, শিলিগুড়ি: একের পর এক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে থাবা বসিয়েছে করোনা। তার ফলে কারও কারও চলছে চিকিৎসা। আবার কেউ করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসায় রয়েছেন কোয়ারেন্টাইনে। মারণ ভাইরাসের ধাক্কায় জবুথবু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এই পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সংকটজনক ছাড়া অন্যান্য রোগী ভরতি নেওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ১৫ জন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। রবিবারও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের এক হাউস স্টাফের লালারসের নমুনার পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। তাতে জানা যায় তিনিও করোনা আক্রান্ত। ফলে বর্তমানে এই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ জন। আর করোনা রোগীদের সংস্পর্শে আসার জন্য কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ত্রিশেরও বেশি। তার ফলে পরিষেবা কীভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
নিরুপায় হয়ে রবিবার সকাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চোখ, কান, নাক, ত্বক এবং একটি ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বহির্বিভাগও বন্ধ রাখা হবে। এ প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রবীরকুমার দেব বলেন, “পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা চলছে। মুমুর্ষ রোগী ছাড়া এখন আর রোগী ভরতি নেওয়া সম্ভব নয়।”
এর আগে রাজ্যের একাধিক হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে থাবা বসায় করোনা। তার ফলে হাসপাতালে পরিষেবা আংশিক ব্যাহত হয়। তবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিস্থিতি আরও সঙ্গীণ। প্রতিদিন প্রচুর রোগী ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। চিকিৎসক না থাকায় কোনও পরিষেবা দিতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.