Advertisement
Advertisement

উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসে নয়া বিষয়, মনের খেয়াল রাখতে পাঠ্যে ‘মানসিক চাপ’

শিক্ষক-শিক্ষিকারা কী ভাবে ক্লাস নেবেন, সেই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে শিক্ষা সংসদের তরফে।

New subject is included in higher secondary syllabus

প্রতীকী ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:January 29, 2025 2:33 pm
  • Updated:January 29, 2025 2:33 pm   

স্টাফ রিপোর্টার: এবার উচ্চমাধ্যমিক সিলেবাসে যুক্ত হল ‘মানসিক চাপ’। যার লক্ষ্য, জ্ঞানের পাশাপাশি মনের দিকেও খেয়াল রাখা। পড়াশোনা নিয়ে চাপ কমাতে একটি বিশেষ অধ্যায় যুক্ত হয়েছে একাদশ শ্রেণিতে। এক জন ছাত্র বা ছাত্রীর মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেলে তার মধ্যে কী কী লক্ষণ ফুটে উঠবে, তা এই বইয়ে সবিস্তার উল্লেখ করা হয়েছে। আইআইটি হোক বা দেশের অন্য বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সম্প্রতি বেশ কিছু পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। যার নেপথ্যে উঠে এসেছে মানসিক চাপের কথা। তাই ছাত্র থাকাকালীন মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধি করতেই এই উদ্যোগ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যায়াম, যোগা-সহ নতুন বেশ কিছু বিষয় এই পাঠ্যক্রমে উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement

এছাড়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা কী ভাবে ক্লাস নেবেন, সেই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে শিক্ষা সংসদের তরফে। প্রথম-দ্বিতীয় হওয়ার ইঁদুর দৌড়ে মানসিক চাপ বাড়ছে পড়ুয়াদের। এই চাপ কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তার পাঠই চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে সিলেবাসে যোগ করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা সব সময়ে পড়ুয়াদের মানসিক চাপ কমাতে চাই। এই বইয়ের মাধ্যমে পড়ুয়ারা এবং তাঁদের পরিবার উভয়ে বুঝতে পারবে মানসিক চাপ পড়ছে কি না।’’

উচ্চমাধ্যমিক স্তরের স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা অধ্যায়ের অংশ হিসাবে পড়ানো হবে এই নতুন বিষয়। মূলত, হতাশা, শিশুসুলভ আচরণ, পালিয়ে যাওয়ার মনোবৃত্তি, অসামাজিকতা রোখার শিক্ষা দেওয়া হবে। যেমন, শৈশব থেকেই ছোট ছোট মিথ্যে কথা বলাকে অনেক সময়ে গ্রাহ্য করেন না বড়রা। সেটাই পরবর্তীতে বড় সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে মত মনোবিদদের। তাই মিথ্যে কথা বলা নিয়েও বিশেষ পাঠ এই পাঠ্যক্রমে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও নিরাপত্তা, উপযুক্ত চিকিৎসা, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়া, আত্মসম্মান বোধ, জীবনে আনন্দ উপভোগ করার ক্ষমতা-সহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও নজর দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে এ বছর থেকে শুরু হল বিভিন্ন রকমের সচেতনতার পাঠ। সম্প্রতি ট্যাব-কন্যাশ্রীর টাকা পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে না গিয়ে চলে যাচ্ছিল সাইবার প্রতারকদের হাতে। এর জন্য পড়ুয়াদের ছোট থেকে সতর্ক করতে এবং সাইবার থ্রেট সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরতে, পাঠ্যবইতে সাইবার সুরক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দপ্তর। একই সঙ্গে স্কুলস্তরে শিশুদের যৌন হেনস্তা সংক্রান্ত পকসো আইনের প্রাথমিক পাঠও দেওয়া হবে। শুধু বড়রা নয়, নিত্যদিন কোথাও না কোথাও যৌন হেনস্তার শিকার হচ্ছে শিশুরাও। স্কুল, খেলার মাঠ, এমনকী, বাড়ির ভিতরেও অনেক সময়ে যৌন হেনস্তার কবলে পড়ে কচিকাঁচারা। ভয়ে বা হুমকির কারণে অনেক সময়ে সত্যিটা বলেও উঠতে পারে না তারা। কিন্তু এই হেনস্তা যে আদতে বড় অপরাধ, এ বার তারই পাঠ দিতে চলেছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ