অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার আড়ালে পর্নোগ্রাফি! চলত মধুচক্রও! পানিহাটির তরুণীর উপর অত্যাচারের ঘটনায় প্রকাশ্যে ‘ফুলটুসির কীর্তি’। স্থানীয়দের দাবি, ছেলে আরিয়ান ও তার মা শ্বেতা খান একাধিক দুষ্কর্মের সঙ্গেও যুক্ত ছিল। তারা আপাতত পলাতক।
আরিয়ানের মা শ্বেতা খান এলাকায় ‘ফুলটুসি’ নামে পরিচিত। তার একটি প্রোডাকশন হাউসও ছিল বলে খবর। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ওই প্রোডাকশন হাউসে রিলসের নামে ‘সফট পর্নোগ্রাফি’ শুট হত। কাজের টোপ দিয়ে তরুণীদের এনে বার ডান্স, পর্নোগ্রাফি বানানোর কাজে ব্যবহার করত মা-ছেলে। শুধু তাই নয়, ‘ফুলটুসি’র বিরুদ্ধে মধুচক্র চালানোর অভিযোগ রয়েছে। বাড়িতে রীতিমতো অস্ত্র রাখত মা-ছেলে। এনিয়ে থানায় একাধিক অভিযোগ দায়েরও হয়েছে। তবে অবশ্য অদৃশ্য কোনও জাদুবলে মা-ছেলেকে কখনও গ্রেপ্তার হতে হয়নি। যদিও শ্বেতা-আরিয়ানের এই কীর্তি নিয়ে পুলিশের মুখে কুলুপ।
জানা গিয়েছে, আরিয়ান ও শ্বেতা রিলস বানিয়ে মোটা টাকা আয় করত। সেই রিলস বানিয়েই কাজের টোপ দিত তারা। মা-ছেলের সেই টোপ গিলেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের বাসিন্দা বছর ২৩-এর তরুণী। তাঁর কাজের প্রয়োজন ছিল। সম্প্রতি ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ হয় ডোমজুড়ের আরিয়ান খান নামে ওই যুবকের। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় কাজ আছে। সেই টোপ দিয়ে ওই তরুণীকে হাওড়ার ডোমজুড়ে আনা হয়। কিন্তু সেখানে গিয়েই ভুল ভাঙে তরুণীর। অভিযোগ, পানশালায় কাজ করানো হয় তাঁকে দিয়ে। শুধু তাই নয়, মধুচক্র-পর্নোগ্রাফির প্রস্তাবও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু এসব কাজ করতে রাজি হয়নি ওই তরুণী। তিনি সেখান থেকে চলে আসতে চান। অভিযোগ, এরপরই শুরু হয় অত্যাচার, আটকে রেখে তাঁকে দিয়ে বাড়ির সব কাজ করানো হতে থাকে। তরুণীকে আটকে রাখাই শুধু নয়, মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করা হয় বলেও অভিযোগ। জ্বলত সিগারেটের ছ্যঁকা দেওয়া, মাথায় চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কোনওরকমে পালিয়ে আসেন তিনি। এরপরই প্রকাশে আসে মা-ছেলের কীর্তি।
শ্বেতা-আরিয়ানের ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.