ফের নতুন করে ধস নামায় বন্ধ জাতীয় সড়ক। নিজস্ব চিত্র
বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক চালু হতেই বিপত্তি। আজ, শুক্রবার ফের ভূমিধসে অবরুদ্ধ হল লিউকিবীর এলাকা। ধস সরিয়ে দুপুরে জাতীয় সড়ক চালু হলেও তীব্র যানজটে জেরবার দশা হয়েছে যাত্রীদের। জোরথাংয়ে পাথর গড়িয়ে পড়ে জখম হলেন এক বাইক আরোহী। এদিকে উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের পাহাড়-সমতল জুড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জনজীবন। বাড়ছে পাহাড়ি নদীর জলস্তর। তিস্তা ও জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় ‘হলুদ’ সঙ্কেত জারি করেছে সেচ দপ্তর।
শিলিগুড়ি-সিকিম সড়ক যোগাযোগের ‘লাইফ লাইন’ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ভরা বর্ষায় রীতিমতো ‘ডেথ লাইনে’ পরিণত হয়েছে। কখন কোথায় পাথরের চাঁই হুড়মুড়িয়ে নামছে ঠিক নেই। কালিম্পং প্রশাসনের তরফে ওই সড়কে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গত ৩ আগস্ট একটানা বৃষ্টির জেরে শ্বেতীঝোরায় ভয়াবহ ধস নামে। ধসের ফলে জাতীয় সড়কের বড় অংশ ভেঙে তিস্তায় তলিয়ে যায়। ফলে বাংলা-সিকিমের মধ্যে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্যোগ নেয় ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড’।
সংস্থার আধিকারিক রাহুলকুমার গুপ্তা জানান, পাহাড় কেটে নতুন করে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। আপাতত একমুখী যান চলাচলের অনুমতি থাকবে। চারদিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্বেতীঝোরা হয়ে শুরু হয় একমুখী যান চলাচলের ‘ট্রায়াল রান’। যদিও পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের কর্তারা। এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে ভূমিধস নামে লিউকিবীর এলাকায়। ফের অবরুদ্ধ হয় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। দুপুর নাগাদ ধস সরিয়ে ফের একমুখী যান চলাচল শুরু হয়। এদিন সকালেই জোরথাংয়ের বারখায়ামে হঠাৎ পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে নেমে জখম হয়েছেন এক বাইক আরোহী। এরপর প্রশাসনের তরফে ওই এলাকায় সতর্কভাবে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এদিকে জাতীয় সড়ক ফের বন্ধ থাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। ঘুরপথে রাস্তায় গাড়ির লম্বা লাইন দেখা যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ির চাকা সরেনি বলে দাবি চালকদের। নাকাল যাত্রী থেকে চালকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.