সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নৈহাটি বিস্ফোরণের ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই আরও স্পষ্ট হল পুলিশের গাফিলতি। প্রাথমিক এই রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে যে, বাজি কারখানা থেকে মোট ২৫০০ কেজি বাজি ও বাজি তৈরির সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। তার মধ্যে মাত্র ৮০০ কেজি বাজি ছিল। বাকিটা বিস্ফোরক। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ছাড়াই বিপুল পরিমাণ এই বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেই কারণেই এই বিপত্তি।
বছরের শুরুতেই নৈহাটির দেবকের মামুদপুরে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। আচমকাই প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। সেই সময় বাজি কারখানার ভিতরই ছিলেন কয়েকজন কর্মী। খবর পাওয়ামাত্রই দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দমকল কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। ওই কাজে হাত লাগান স্থানীয়রাও। বেশ কয়েকঘণ্টা পর ওই বাজি কারখানার ভিতর থেকে মোট পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়। প্রত্যেককে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।এই ঘটনার পরের দিনই কারখানার মালিক নুর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই মুন্না সাউয়ের কথা জানতে পারে তদন্তকারীরা। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় মুন্নাকে।
দেবকের এই কারখানা থেকে বাজেয়াপ্ত করা বাজি নিষ্ক্রিয় করার সময় ৩ জানুয়ারি ফের বিস্ফোরণ ঘটে। কেঁপে ওঠে নৈহাটি-চুঁচুড়া। নৈহাটির রামঘাট লাগোয়া বেশ কয়েকটি বাড়ি কেঁপে ওঠে বিস্ফোরণে। ভেঙে পড়ে কাচের জানলা, দরজা। এছাড়াও রামঘাটের ওপারে অবস্থিত চুঁচুড়ার বেশ কয়েকটি বাড়িও বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত হন বেশ কয়েকজন। এই ঘটনায় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের গাফিলতি থাকার কথা স্বীকার করেন বারাকপুর কমিশনারেটের কমিশনার মনোজ ভার্মা। তার ভিত্তিতেই শুরু হয় তদন্ত। সেই রিপোর্টেও গাফিলতির প্রমাণ মেলে। গাফিলতির অভিযোগে নৈহাটি থানার আইসি, বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের ওসি-সহ আরও এক আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.