Advertisement
Advertisement
দেব

ত্রাণ দেয়নি তৃণমূল! দুঃখ প্রকাশ করে ভাইয়ের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিলেন সাংসদ দেব

দুর্দিনে সাংসদ ভাইকে পাশে পেয়ে আপ্লুত বিক্রম।

MP Dev sends food to his cousin's house in midnapore on sunday
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 10, 2020 4:32 pm
  • Updated:May 10, 2020 7:48 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেই রেশন কার্ড, টানা লকডাউনে মিলছে না ত্রাণ সামগ্রীও। ফলে কার্যত অনাহারে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছিলেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেবের ভাই! এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছিল ঘাটালে। সাংসদের ভাইয়ের অভিযোগ ছিল, একাধিকবার অসহায় পরিস্থিতির কথা জানালেও সাহায্যের হাত বাড়ায়নি শাসকদল। অবশেষে সিপিএমের তরফে ত্রাণ সামগ্রী মেলায় কোনও রকমে দু’বেলা দু’মুঠো জুটছে গোটা পরিবারের। এই খবর পাওয়া মাত্রই পরিবারের পাশে দাঁড়ান দেব। খাদ্যসামগ্রী বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন তিনি। দুঃখ প্রকাশ করেন গোটা ঘটনার জন্য।

Advertisement

সম্পর্কে সাংসদ দেবের (Dev) খুড়তুতো ভাই কেশপুরের মহিষদা গ্রামের বাসিন্দা বিক্রম অধিকারী। পেশায় বাসের কন্ডাক্টর বিক্রম জমানো টাকায় কিছুদিন মা, স্ত্রী, সন্তানদের মুখে অন্ন তুলে দিলেও টানা লকডাউনে ফুরিয়েছে অর্থ। বিক্রমের কথায়, ভাঁড়ার শূন্য হতেই বাধ্য হয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। এরপর পেটের দায়ে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের কাছে গেলে ওরাই চাল, ডাল, আলু, তেলের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বিক্রমবাবুর আরও অভিযোগ, তাঁর মায়ের বিধবা ও বার্ধক্য ভাতার ফর্ম ফিলাপ করা হলেও এখনও সেখান থেকেও কোনও আর্থিক সাহায্য মেলেনি। সাংসদের আত্মীয়ের এহেন অভিযোগে বিতর্কের ঝড় উঠেছে কেশপুরে। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহার কথায়, “গোটা ঘটনাটি সিপিএমের চক্রান্ত। তাঁদের নির্দেশেই বিক্রমবাবু ভুল তথ্য দিচ্ছেন।”

[আরও পড়ুন: ২১ দিনের জন্য পুরোদমে লকডাউন জারি বনগাঁয়, শর্তসাপেক্ষে খুলবে ওষুধের দোকান]

এ বিষয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায় বলেন, “আমাদের পক্ষে যতটা সম্ভব ততটা করেছি। সাংসদ বা অভিনেতার ভাই হিসেবে নয়, সাধারণ মানুষ হিসেবে ওর পাশে দাঁড়িয়েছি।” সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পরিবারের সাহায্যার্থে এগিয়ে যান সাংসদ। ভাইয়ের হাতে পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি। প্রসঙ্গত, বিক্রমবাবুরা যে বাড়িতে থাকেন এটিই সাংসদ দেবের (Dev) আদি বাড়ি। একাধিকবার ঘাটালে গেলে ওই বাড়িতে যেতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। 

[আরও পড়ুন: ‘ইদ উদযাপনের দরকার নেই, লকডাউনের মেয়াদ বাড়ান’, মমতার কাছে আরজি ইমামদের]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ