Advertisement
Advertisement
Diamond Harbour

পরকীয়ার জের, শিশুকন্যাকে আছড়ে মারল মা! গ্রেপ্তার প্রেমিক যুগল

ধারাবাহিক জেরায় 'খুনের' কথা স্বীকার যুগলের।

Mother beats daughter to death over extramarital affair! Diamond Harbour police arrest couple

প্রতীকী ছবি।

Published by: Suhrid Das
  • Posted:August 20, 2025 11:13 am
  • Updated:August 20, 2025 11:18 am   

সুরজিত দেব, ডায়মন্ড হারবার: পরকীয়ার পরিণতি! তিন বছরের শিশুকন্যাকে আছড়ে মারল মা! প্রেমিকের হাত ধরে ওই মা তার সন্তানকে নিয়ে ডায়মন্ড হারবার থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ চলে গিয়েছিল। সেখানেই ওই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।  দু’জনকেই গ্রেপ্তার করেছে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে পারুলিয়া কোস্টাল থানার সরিষা অঞ্চলের কামারপোলের বাসিন্দা নাজিরা বিবির সঙ্গে রায়দিঘির বাসিন্দা পেশায় একটি বেসরকারি রুটের বাস কন্ডাক্টর তাজউদ্দিন মোল্লার অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নাজিরা বিবি একটি কারখানায় কাজ করতে যেত। বাসে যাতায়াতের সময় তাজউদ্দিনের সঙ্গে তার আলাপ ও পরে ঘনিষ্ঠতা হয়। কিছুদিন আগে তিন বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে নাজিরা বিবি বেপাত্তা হয়ে যায়। তাঁর স্বামী আজহার লস্কর স্ত্রী নাজিরা বিবি নিখোঁজ বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অপহরণের মামলা দায়ের করে তদন্তে নামে। বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর পেয়ে পুলিশের একটি বিশেষ দল অন্ধ্রপ্রদেশের রাজামুন্দ্রি জেলা এলাকায় গিয়ে ওই প্রেমিক যুগলের সন্ধান পায়। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, দুধের ওই শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর সেখানেই শিশুটিকে কবরস্থ করা হয়। রাজামুন্দ্রি জেলার ওই থানায় কেবল একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়।

এদিকে অপহরণের মামলায় পুলিশ ওই প্রেমিক যুগলকে সেখান থেকে আটক করে নিয়ে আসে। শিশুমৃত্যুর ঘটনায় সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ ওই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জেরায় ভেঙে পড়ে দু’জনে। একসময় পুলিশের কাছে তারা স্বীকার করে প্রেমের সম্পর্কে ওই শিশুকন্যার উপস্থিতি বাধা হয়ে গিয়েছিল। আর তারপরেই প্রেমিকের সাহায্যে নিজের শিশুকেই আছড়ে মারে মা!

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) মিতুনকুমার দে জানান, সাম্প্রতিককালে এমন মর্মান্তিক ঘটনার নজির বিরল। অভিযুক্ত প্রেমিক যুগলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রুজু করা হয়েছে খুনের মামলাও। আদালতের নির্দেশে অভিযুক্ত দু’জনকেই পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। জেরায় ধৃত ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছে, এক মাসের গর্ভবতী সে। গর্ভের ওই সন্তান তার প্রেমিকেরই। সে কারণেই সন্তানকে ‘খুন’।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ