Advertisement
Advertisement

দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় মৃত্যু মিশমি টাকিনের, গাফিলতির অভিযোগ

পেটে জীবাণু সংক্রমণের কারণেই মৃত্যু বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান।

Mishmi takin dies in Derjeeling zoo
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:February 22, 2019 8:56 am
  • Updated:February 22, 2019 8:56 am  

শুভদীপ রায় নন্দী, শিলিগুড়ি: দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় মারা গেল বিদেশি অতিথি মিশমি টাকিন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতে বনদপ্তর ও পর্যটনমহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সম্প্রতি বেঙ্গল সাফারি পার্কে শিলার মেয়ে ইকার মৃত্যু হয়েছে। সেই শোকের রেশ না কাটতে ফের এক অতিথির মৃত্যু বনদপ্তরকে রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি বিদেশ থেকে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় আনা হয় পাঁচটি মিশমি টাকিন। এদের মধ্যে সব থেকে ছোট ‘চার্লস’ মারা গিয়েছে। এই ঘটনার জেরে বনদপ্তরের পাশাপাশি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে জার্মানির বার্লিনের টায়ার পার্ক থেকে মিশমি টাকিন দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুওলজিকাল পার্কে আনা হয়। চার্লস ছিল সব থেকে ছোট। বয়স দশ মাস। পার্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে সেটি মারা যায়। পেটে জীবাণু সংক্রমণের কারণেই মৃত্যু বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছেন পার্কের আধিকারিকরা। যদিও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা। বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “বুধবার খবর পেয়েছি। কেমন করে টাকিনের মৃত্যু হল খতিয়ে দেখতে বলেছি। বাকি টাকিনগুলিকেও নজরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু জুওলজিকাল পার্কের ডিরেক্টর রাজেন্দ্র জাখর বলেন, “দশ মাস বয়স হয়েছিল চার্লসের। পেটে জীবাণু সংক্রমণ হয়েছিল। চার-পাঁচ দিন ধরে চিকিৎসা চলেছে। কিন্তু লাভ হয়নি। শুক্রবার রাতে মারা যায়। মৃত পশুটির রক্ত, পাকস্থলির ভিসেরা গবেষণাগারে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। বাকি টাকিনগুলি নজরে রাখা হয়েছে।”

এবার চা-বাগানে মদের রমরমা রুখতে হাতিয়ার মাশরুম ]

বার্লিন থেকে আনার পর পাঁচটি টাকিনকে নাইট শেল্টারে আলাদা করে মনিটরিংয়ে রাখা হয়। এক মাস ধরে নজরদারিতে ছিল। দু’এক দিনের মধ্যে পর্যটকদের জন্য চিড়িয়াখানার এনক্লোজারে ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু চার্লসের মৃত্যুর পর তা স্থগিত রাখা হয়েছে। আরও কয়েকদিন বাকি টাকিনদের নজরে রাখা হবে। রাজ্য বনদপ্তর ও স্টেট জু অথরিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচটি টাকিনের মধ্যে তিনটে পুরুষ ও দু’টি স্ত্রী ছিল। সব থেকে ছোট ছিল চার্লস। তাঁর বয়স প্রায় দশ মাস। ক্লেয়ারের বয়স আড়াই বছর, ড্যানি দু’বছর, রামোনা এক বছরের ও রক দেড় বছরের।

মর্গে বাবা, কনেকে লগ্নভ্রষ্টা হতে না দিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে শোকে বিহ্বল ছেলে ]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement