টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: সব হতাশা সরিয়ে ‘আমি-আমি’ ছেড়ে, ‘আমরা’ নীতিতে দলের নেতা-কর্মীদের যৌথভাবে কাজ করার পরামর্শ দিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী তথা বাঁকুড়া জেলার তৃণমূল পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। দলের জেলা নেতৃত্বের প্রতি তাঁর পরামর্শ, “তৃণমূল তৈরির পর থেকেই একাধিক জেলা সভাপতি, ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি-সহ বহু নেতা এবং অনেক ভাল ভাল কর্মী ঘরে বসে আছেন। সময়ের সঙ্গে তাঁরা প্রাক্তন হয়ে গিয়েছেন। তাঁদের কাছে আমাদের যেতে হবে। দলের বিভিন্ন পদে এনে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে নিয়ে আসতে হবে।”
শুভেন্দুবাবু দলীয় নেতা-কর্মীর আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন পদে বসে নেতারা কর্মীদের সঙ্গে ‘রাজা’ সুলভ আচরণ করেছেন। কর্মীদের সঙ্গে কখনওই ‘বন্ধুত্ব’ সুলভ আচরণ করেননি। ২০১১ সালের পর বিভিন্ন সরকারি পদে বসে অনেক নেতা যে ‘সুযোগ-সুবিধা’ ভোগ করেছেন তা সাধারণ মানুষের চোখে লেগেছে। এগুলি যাঁরা করছেন তাঁদের এসব ত্যাগ করতে হবে। আমাদের চলার পথে যদি ভুল হয়ে থাকে, আভ্যন্তরীন সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে নেতৃত্বের পরিবর্তনই তার স্থায়ী সমাধান নয়। নিজেদের এই ভুল-ত্রুটিও সংশোধন করতে হবে।” মন্ত্রী তথা নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সেনাপতি যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে এ কথা বলছেন, তখন দর্শকাসনে বসা দলের নিচুতলার কর্মীরা রীতিমতো উৎফুল্ল হয়ে হর্ষ ধ্বনি করতে থাকেন। তিনি ফের একবার উপস্থিত নেতা-কর্মীদের মনে করিয়ে দেন, “এখন আমাদের মাথা নত করে মানুষের কাছে ভোট চাইতে যেতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেসে কেউ নেতা নয়, আমরা সবাই কর্মী। নেত্রী একজন মমতা বন্দোপাধ্যায়।” এদিন বাঁকুড়ার মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরে তৃণমূলের এই সভাকে ঘিরে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
ছবি: সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.