Advertisement
Advertisement
পুরুলিয়া

পুলিশের প্রচারই সার, পুরুলিয়ার অধিকাংশ পিকনিক স্পটেই বাজল ডিজে

সিভিক ভলান্টিয়াররা কোন ব্যবস্থাই নিল না বলে অভিযোগ।

Massive Sound Pollution in Purulia asPicnic Parties plays DJ
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:January 1, 2020 9:18 pm
  • Updated:January 1, 2020 9:18 pm  

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: পুলিশের প্রচারই সার। নতুন বছরের পয়লা দিনে পুরুলিয়ার অধিকাংশ পিকনিক স্পটেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ডিজে বাজল। বুধবার পয়লা জানুয়ারি পুরুলিয়ার জলাধারের শান্ত নিরিবিলি জায়গা থেকে পাহাড় কোল। সর্বত্র ছিল ডিজের দাপট। এবং তা পুলিশের সামনেই। পিকনিক স্পট গুলিতে পুলিশের সহায়তা কেন্দ্রে ডিজে বাজলেও সেখানে থাকা সিভিক ভলান্টিয়াররা কোন ব্যবস্থাই নিল না বলে অভিযোগ। ফলে শব্দদূষণে কান ঝালাপালা হল ওই পিকনিক স্পটে ঘুরতে আসা পর্যটকদের। দিনভর এই ডিজের দাপটে অতিষ্ট হলেন তারা। এই বিষয়ে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগানের প্রতিক্রিয়া নিতে তাঁকে একাধিকবার ফোন ও এসএমএস করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Advertisement

এই ডিজে নিয়ন্ত্রণে থানায় থানায় পুলিশ সম্প্রতি বৈঠক করে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও পয়লা জানুয়ারি তা কোনও কাজই লাগল না। তাছাড়া বনভোজনে ডিজে নিয়ন্ত্রণ করতে গত বছর পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি জারি করলেও কোনও কাজ হল না। সকাল থেকে বিকাল শব্দদূষণে পুলিশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিলেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা। এদিন অযোধ্যা পাহাড়ের সমস্ত পিকনিক স্পট এমনকি পাহাড়তলি মুরগুমা, মাঠা সর্বত্রই বাজে ডিজে। হুড়ার যে পুটিয়ারি এলাকা শান্ত-নিরিবিলি বলে পরিচিত সেখানেও ছিল ডিজের দাপট। এই জলাশয়ে প্রচুর পরিযায়ী আসে। ফলে এই এলাকাতে মাইক বাজানোই নিষিদ্ধ। তবুও সেসব বিধি-নিষেধের তোয়াক্কা না করেই পিকনিক পার্টি ডিজে বাজায়। কাশীপুরে দ্বারকেশ্বর নদের কোলে কাপিষ্ঠাতেও দিনভর ডিজে বেজে যায়। একই ছবি দেখা যায় জয়চণ্ডী পাহাড়েও। সেখানে পুলিশের স্বেচ্ছাসেবক থাকলেও কোন ব্যবস্থাই নেয়নি বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে পরিবেশ বান্ধবের বার্তাকে না মেনে পিকনিক স্পট গুলিতে থার্মোকলের থালা ব্যবহার হয়।

[আরও পড়ুন: কেন্দ্রের স্বচ্ছতা সমীক্ষায় অপরিষ্কার শহরের তকমা পেল কলকাতা ও হাওড়া]

অথচ ২০১৮ সালে জেলা প্রশাসন পিকনিক স্পটে এই থার্মোকল বন্ধ করতে শাল পাতা ব্যবহারের জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে মাঠে নামায়। বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়। গত বছরের মাঝামাঝিতে অ়যোধ্যা পাহাড়ের ট্যুরিজমকে মাথায় রেখে এই বিষয়ে পদক্ষেপও গ্রহণ করে পুলিশ। কিন্তু তা কোন কার্যকরই হল না। তবে নিয়ম ভাঙার এই পিকনিকে ব্যতিক্রম হয়ে রইল গড়পঞ্চকোট। এখানে যেমন বাজেনি ডিজে। তেমনই পিকনিক পার্টিরা ব্যবহার করেননি থার্মোকলও। এলাকার বাসিন্দাদের সচেতনতার প্রচারেই গড়পঞ্চকোট তার পরিবেশ বান্ধব পর্যটন বজায় রাখল।

ছবি: সুনীতা সিং

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement