Advertisement
Advertisement
লকেট

‘সত্য গোপন করতেই কুমারগঞ্জের নির্যাতিতার পরিবারকে অপহরণ করেছে পুলিশ’, বিস্ফোরক লকেট

সূত্রের খবর, প্রশাসনের তরফে আর্থিক সাহায্য নিতেই বালুরঘাট গিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা।

Mamata govt gives financial aid to Kumarganj rape survivor

ফাইল ছবি

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:January 11, 2020 4:33 pm
  • Updated:January 11, 2020 6:23 pm   

রাজা দাস, বালুরঘাট: কুমারগঞ্জে গিয়েও নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা না করেই ফিরতে হচ্ছে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। কারণ, প্রশাসনের তরফে আর্থিক সাহায্য প্রদানের জন্য বালুরঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নির্যাতিতার বাবা-মাকে। তাই ফাঁকা রয়েছে বাড়ি। সূত্রের খবর, বাবা-মাকে না পেয়ে নির্যাতিতার আত্মীয়দের সঙ্গে নিয়ে কুমারগঞ্জ থানায় যান বিজেপি নেত্রী। মিসিং ডায়েরি করেন তাঁরা। বিজেপি নেত্রীর অভিযোগ, অভিযোগ সত্য গোপন করতেই পুলিশ লুকিয়ে রেখেছে তাঁদের। 

Advertisement

কুমারগঞ্জ গণধর্ষণ কাণ্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য। ইতিমধ্যেই ৩ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার পরিবারের সদস্য ও চাদর বিক্রেতা গোপন জবানবন্দিও দিয়েছে আদালতে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার কুমারগঞ্জে যান বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু নির্যাতিতার বাড়ি পৌঁছে তাঁর বাবা-মার দেখা পাননি সাংসদ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিনি জানতে পারেন প্রশাসনের আধিকারিকরা তাঁদের বালুরঘাট নিয়ে গিয়েছেন। একথা জানার পর নির্যাতিতার আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন লকেট। এরপরই লকেট অভিযোগ করেন যে, সত্য গোপন করার জন্য পুলিশ ইচ্ছাকৃত নির্যাতিতার বাবা-মাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। রাজ্যে হিটলারি শাসন চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তোলেন লকেট। পরে নির্যাতিতার আত্মীয়দের সঙ্গে নিয়ে কুমারগঞ্জ থানায় হাজির হন সাংসদ। সেখানে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের দেখা না পাওয়ায় সাংসদের উপস্থিতিতে মিসিং ডায়েরি করেন আত্মীয়রা। 

cheque

[আরও পড়ুন: কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে বাস, আশঙ্কাজনক ৯ পুণ্যার্থী]

অন্যদিকে জানা গিয়েছে, এদিন বালুরঘাটে নিয়ে গিয়ে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের হাতে ৪,১২,৫০০ টাকার চেক তুলে দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অর্পিতা ঘোষ। তিনি বলেন, “অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি আমি। কারণ শাস্তির ভয় না থেক ফের অন্য কোথাও এমন ঘটনা ঘটাবে। পাশাপাশি কীভাবে মানুষের মনে সংবেদনশীলতা ফিরিয়ে আনা যায় সেই চিন্তাভাবনাও জরুরি।” প্রসঙ্গত, রবিবার কুমারঞ্জের নির্যাতিতাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় ৩ যুবক। সারাদিন ঘোরার পর ফাঁকা মাঠে ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় দেহ।

দেখুন ভিডিও: 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ