রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: চলন্ত ট্রেনে দেবীপক্ষের সূচনা! চলছে মহালয়া। শুধু তাই নয়, প্ল্যাটফর্মে ট্রেন থামতেই অবাক যাত্রীরা। একেবারে সুসজ্জিত মহিষাসুরমর্দিনী। অসুর বধ হচ্ছে এক্কেবারে ভরা প্ল্যাটফর্মে। মহালয়ায় ট্রেনের মধ্যেই একেবারে অভিনব কায়দায় ‘সংস্কৃতি যাত্রা’। সৌজন্যে আলিপুরদুয়ার সাংস্কৃতিক সংস্থা। সহযোগিতায় ভারতীয় রেল। এই উদ্যোগে খুশি যাত্রী থেকে রেলের আধিকারিকরা। অনুষ্ঠান দেখতে সপরিবারে আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে হাজির হয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জীলাল। দেবীপক্ষে অভিনব এই উদযাপন দেখে খুশি তিনিও।
সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, ”প্রতি বছর আমি এখানে আসি। ট্রেনে করে চলমান প্রভাতফেরী একেবারেই অভিনব। আগে কোথাও দেখিনি।” তাঁর কথায়, বহু বছর আগে এই অভিনব চলমান প্রভাতফেরী শুরু হয়েছিল। তা এখনও চলছে। এর সঙ্গে একটা ভালোবাসা, আবেগ জড়িয়ে রয়েছে।
মহালয়া মানেই পির্তৃপক্ষের অবসান! দেবীপক্ষের সূচনা। আর যেন মন মানে না! সে কথা মাথায় রেখেই আজ রবিবার শিলিগুড়ি-বামনহাট প্যাসেঞ্জার ট্রেনে এই সংস্কৃতি যাত্রার আয়োজন। সকাল থেকেই একেবারে সাজো সাজো রব।
আলিপুরদুয়ার জংশন রেল স্টেশন থেকে এই ‘সংস্কৃতি যাত্রা’ শুরু হয়। বাংলাদেশ সীমান্তের বামনহাট রেল স্টেশনে যাওয়ার পথে সব স্টেশনেই মহিষাসুরমর্দিনী অভিনয় করে দেখান আলিপুরদুয়ার সাংস্কৃতিক সংস্থার কর্মীরা। আলিপুরদুয়ার সাংস্কৃতিক সংস্থার সম্পাদক আশ্চর্য মল্লিক বলেন, “২০০৯ সাল থেকে আমরা এই অনুষ্ঠান করছি। এবার ১৬ তম বর্ষে পড়ল আমাদের অনুষ্ঠান। আগামী বছর গোটা রাজ্যে ঘুরব আমরা।”
তাঁর কথায়, ”এই অনুষ্ঠান ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সব স্টেশনে প্রচুর মানুষ আমাদের মহিষাসুরমর্দিনী দেখতে ভিড় জমিয়েছেন। ট্রেনের ভেতরেও আমরা দেবী পক্ষের সূচনায় গান বাজনা করি। এ এক অন্য অনুভূতি!”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.