Advertisement
Advertisement
locket chatterjee

হুগলিতে পানীয় জল ও বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ, ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ লকেটের

বলাগড়, মগরা ও পান্ডুয়াতে গিয়ে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ শোনেন বিজেপি সাংসদ।

locket slams state government for corruption in amphan relief work

 বলাগড়ের চাঁদড়ায় লকেট চট্টোপাধ্যায় 

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:May 23, 2020 8:29 pm
  • Updated:May 23, 2020 8:30 pm  

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: আমফানের তাণ্ডবের পর থেকে কেটে গিয়েছে ৭২ ঘণ্টা। কিন্তু, এখনও হুগলির বহু জায়গায় পানীয় জল ও বিদ্যুতের জন্য হাহাকার করছে মানুষ। শনিবার এই দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। এর পাশাপাশি আজ হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় পান্ডুয়া, মগরা ও বলাগড় ব্লকের দুর্গত এলাকায় পরিদর্শন করে ত্রাণ বিলি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন।

Advertisement

locket-in-pandua
শনিবার সকাল থেকেই হুগলির উত্তরপাড়া, ডানকুনি ও চুঁচুড়াতে স্থানীয় মানুষ জল ও বিদ্যুতের দাবিতে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ডানকুনির মথুরডিঙিতে পানীয় জল ও বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। একইভাবে উত্তরপাড়ার রাজেন্দ্র তালপুকুর এলাকায় পানীয় জল ও বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এমনকী সেখানে সিএসসির কর্মীরা বিদ্যুৎ পরিষেবা চালুর জন্য কাজ করতে গেলে তাঁদের কাজে বাধা দেন এলাকার মানুষ। যদিও শাসকদলের অভিযোগ, বিরোধী রাজনৈতিক দল স্থানীয় মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছে।

[আরও পড়ুন: খড়গপুরে ফের করোনা আক্রান্তের হদিশ, সংক্রমণের ভয়ে কাঁটা স্থানীয় বাসিন্দারা]

এদিকে একই দাবিতে কোতরং বটতলায় জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষ। অন্যদিকে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মনসাতলার বাসিন্দারা দ্রুত পানীয় জল ও বিদ্যুত পরিষেবা চালুর দাবি জানাতে গেলে তাঁদের স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলার হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা ওই কাউন্সিলারকে ক্ষমা চাইতে হবে এই দাবিতে চুঁচুড়া-ত্রিবেণীর রুটের ৪ নম্বর রোড অবরোধ করেন।

স্থানীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও পান্ডুয়া, মগরা ও বলাগড়ের দুর্গত এলাকাগুলিতে পরিদর্শন করে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, ‘ত্রাণের পয়সা নিয়ে এই রাজ্যে চিরকাল রাজনীতি হয়ে এসেছে। এর আগেও কেন্দ্রীয় সরকারের ত্রাণের অর্থ তৃণমূল নেতারা আত্মসাৎ করেছেন। সাধারণ মানুষকে সময়মতো ত্রাণ দিতে ব্যর্থ এই সরকার। সাইক্লোন মোকাবিলাতেও সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আগাম ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া সত্বেও রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাই ঝড়ের তিন দিন পরেও পানীয় জল ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়নি।’

[আরও পড়ুন: আমফানে বিধ্বস্ত বাংলা, পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনার সাহায্য চাইল রাজ্য]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement