Advertisement
Advertisement
শিশু

হাসপাতালেই পালটে গিয়েছে সন্তান, ১ মাস পর হুঁশ ফিরল মা-বাবার!

বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের তরফে।

Jhargram hospital alleged to child swiping
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:October 7, 2019 7:33 pm
  • Updated:October 7, 2019 7:33 pm   

সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: এবার সদ্যোজাত বদলের অভিযোগ উঠল ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সন্তানকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে হাসপাতালের দ্বারস্থ হয়েছে শিশুর পরিবার। লিখিত অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজপাট নেই, পঞ্চকোট রাজপরিবারে পঞ্চব্যঞ্জনের রীতি অটুট]

ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের ১ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা সন্তোষ সেনাপতি। তিনি জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের আট তারিখ তাঁর স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে গাড়িতেই কন্যা সন্তান প্রসব করেন তিনি। এরপর শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। শিশুটির ওজন কম থাকায় সেখান থেকে তাকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৩ দিন ওই হাসপাতালের সিসিইউতে রাখা হয় শিশুটিকে। অভিযোগ, সুস্থ হওয়ার পর একটি পুত্রসন্তান তুলে দেওয়া হয় সন্তোষ বাবুর হাতে। তাঁরা শিশুটিকে নিয়ে বাড়ি চলে যান। এরপর ফের অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই শিশুটি। ফের তাকে ভরতি করা হয় ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে।

এরপরই সন্তোষবাবু দাবি করেন, কন্যা সন্তান প্রসব করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। এমনকী হাসপাতালের কাগজেও কন্যা সন্তানের কথাই লেখা রয়েছে বলে জানান তিনি। সন্তোষবাবু বলেন, ‘আমাদের কন্যা সন্তাকে ফিরে পেতে চাই। আমাদের সন্তানকে বদল করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি পুলিশকেও জানিয়েছি।’ এই বিষয়ে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার গৌরব ভট্টাচার্য বলেন ‘এখনও আমাদের কাছে লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে নিশ্চয় খতিয়ে দেখা হবে।’ সন্তানকে ফিরে পেতে এখন মরিয়া গোপীবল্লভপুরের সেনাপতি পরিবার। কিন্তু কেন ১ মাস পর হুঁশ ফিরল পরিবারের, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।  

ছবি: প্রতীম মৈত্র

[আরও পড়ুন: বন্দুকের আওয়াজ নয়, আসানসোলের এই বাড়িতে সন্ধিপুজোর বার্তা বহন করেন ডাকহরকরা]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ