নিজস্ব ছবি
সুমন করাতি, হুগলি: হলুদ স্কুটিতে রক্তের দাগ। কিছুটা দূরের ডোবা থেকে উদ্ধার যুবকের মৃতদেহ। এই মৃতদেহ ঘিরেই দানা বেঁধেছে রহস্য। ওই যুবক কি খুন হয়েছেন? কে বা কারা করল খুন? এমনই বিভিন্ন প্রশ্নে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির চণ্ডীতলা এলাকায়। ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মৃতের দ্বিতীয় স্ত্রী-সহ বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার রাতে হুগলির চণ্ডীতলার হাটপুকুর এলাকায় উদ্ধার হয় এক যুবকের মৃতদেহ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত হুগলির পান্ডুয়ার চাঁদপুরের বাসিন্দা শ্রীমন্ত কোড়া, বয়স ৪৯ বছর। কী কারণে শ্রীমন্তকে খুন করা হল, তা খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ। আরও জানা গিয়েছে, রবিবার ঘটনার সময় শ্রীমন্তর স্ত্রী পান্ডুয়ায় ছিলেন। খুনের পিছনে যদি তাঁর হাত থাকে, সেক্ষেত্রে কোনও তৃতীয় ব্যাক্তিকে ব্যবহার করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। ভাড়াটে খুনির কাজ নাকি মৃতের স্ত্রীর কোনও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এমন ঘটনা? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
বছর তিনেক আগে পান্ডুয়ারই টুম্পা ক্ষেত্রপালকে বিয়ে করেছিলেন শ্রীমন্ত। বিয়ের পর চণ্ডীতলার কুমিরমোরার কাছে ঘড় ভাড়া নিয়ে থাকতেন দু’জনে। শ্রীমন্ত রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। শ্রীমন্ত এবং টুম্পা দু’জনেরই এটা দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। দু’জনেরই আগের পক্ষের দুটি করে সন্তান রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত আটটা নাগাদ নবাবপুর জনাই রোডের পাশে একটি হলুদ রঙের স্কুটি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে স্থানীয় মানুষ। স্কুটির গায়ে রক্ত লেগে থাকায় ঘনীভূত হয় রহস্য। খবর পেয়ে স্থানীয়রা সেখানে গিয়ে দেখেন, স্কুটি থেকে রক্তের দাগ একটা ডোবা পর্যন্ত চলে গিয়েছে। স্কুটির পাশে একটি অ্যাসিডের ভাঙা বোতলও পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। স্থানীয়রাই পুলিশকে খবর দেন। চণ্ডীতলা থানার পুলিশ আসে খোঁজাখুঁজির পরে, রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ডোবা থেকে উদ্ধার হয় ওই যুবকের মৃতদেহ। তাঁর গলায় গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। ঘটনাস্থল থেকে একটি হেডফোন, রক্তমাখা চটি এবং হলুদ স্কুটিটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.