রাজা দাস, বালুরঘাট: দিনে পঠনপাঠন, রাতে সরকারি স্কুলের মধ্যেই মধুচক্র চালানোর অভিযোগ। তাও আবার কিনা সিসি ক্যামেরা বন্ধ রেখেই! অভিযুক্ত খোদ স্কুলেরই অস্থায়ী এক কর্মী। তাঁর নাম কানু দেবনাথ। স্কুলে নৈশ প্রহরীর কাজ করত সে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট ব্লকের বাদামাইল লক্ষ্মী প্রতাপ উচ্চ বিদ্যালয়ে। মধুচক্র চালানোর অভিযোগে ইতিমধ্যে অভিযুক্ত কানুকে সাসপেন্ড করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে কীভাবে সবার নজর এড়িয়ে সরকারি একটি স্কুলের মধ্যেই তিনি এই কাজ করতেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। ক্ষোভ ছড়িয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে। স্কুলের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।
স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগ, বুধবার রাতে এলাকারই এক মহিলা এবং এক যুবককে স্কুলের ভিতরে ঢুকতে দেখা যায়। তা থেকেই সন্দেহের সূত্রপাত! এরপরেই স্থানীয় মানুষজন জড় হন ওই স্কুলের সামনে। বিপদ বুঝেই যুবক পালিয়ে গেলেও মহিলাকে স্কুল থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একেবারে হই হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার স্কুল খুলতেই স্থানীয়রা এসে বিষয়টি জানান কর্তৃপক্ষকে। সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরার ফুটেজ চেক করা হয়। কিন্তু দেখা যায় সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ! তাতে সন্দেহ বাড়ে! প্রশ্ন ওঠে ক্যামেরা বন্ধ রেখেই তাহলে কুকীর্তি চলছিল?
এরপরেই এদিন তড়িঘড়ি স্কুল পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকেন প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার লাহিড়ী। সেখানে ওই নৈশ প্রহরীকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও মধুচক্র চালানোর ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন নৈশ প্রহরী কানু দেবনাথ। তিনি বলেন, ”স্কুলের পাশে ওই মহিলার বাড়ি। স্কুলের ভেতর দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি বাড়িতে পৌঁছাতে পারবে বলেই তিনি গিয়েছিলেন বলে জানান। সেই কারণেই ঢুকতে দিয়েছিলাম।” অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার লাহিড়ী জানান,” আপাতত সাসপেন্ড করা হয়েছে নৈশ প্রহরীকে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষী প্রমাণ হলে নৈশ প্রহরীকে পুরোপুরি বরখাস্ত করা হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.