ফাইল চিত্র
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: নিম্নচাপের জেরে ভয়াবহ বৃষ্টিতে বিপর্যয় নেমে এসেছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের বহু জায়গা ধসে বিধ্বস্ত। অতি বৃষ্টি, ভুটান থেকে নেমে আসা প্রবল জলে গরুমারা, জলদাপাড়া অভয়ারণ্যতেও বিপর্যয় নেমে এসেছে। বহু বন্যপ্রাণ জলে ভেসে গিয়েছে। জল কমতে বহু পশুর মৃতদেহ উদ্ধার হছে। বন্যপ্রাণীরা কেমন আছে, তার খোঁজখবর শুরু করেছে বনদপ্তর। এই পরিস্থিতিতে জলপাইগুড়ির গরুমারা জঙ্গলে হাইঅ্যালার্ট জারি করেছে বনদপ্তর। জঙ্গলে চোরাশিকারীর হানার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।
গত শনিবার রাতে ভয়াবহ বৃষ্টি হয়েছিল উত্তরবঙ্গে। হড়পাবান দেখা যায় উত্তরবঙ্গের নদীগুলিতে। তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা-সহ একাধিক নদী ভাসিয়ে দেয় একাধিক জেলা। নদীর জল গরুমারা জঙ্গলের অনেক জায়গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে বলে খবর। একাধিক পশুর মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে দিন কয়েক ধরে। বনদপ্তর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই গন্ডার, বাইসন, হরিণ-সহ ৩০ টিরও বেশি বন্যপ্রাণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারপ্রক্রিয়া এখনও চলছে। সেখানেই জঙ্গলে চোরাশিকারীদের হানা দেওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। এই মুহূর্তে বন্যপ্রাণ বিপন্ন হয়ে আছে। খাবারের খোঁজে গহীন বন থেকে পশুরা বেরিয়েও আসছে। সেইসময় চোরাশিকারীদের হামলার আশঙ্কা থাকছে।
বনদপ্তরের কর্মীরা জানিয়েছেন, প্রচুর বন্যপ্রাণীকে উদ্ধারের পর সুস্থ করে জঙ্গলে ফেরানো হয়েছে। জঙ্গল সংলগ্ন লোকালয় থেকে উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক সাপ। বনদপ্তরের আশঙ্কা এখনও অনেক বন্যপ্রাণীর দেহ আনাচেকানাচে পড়ে রয়েছে। সেসব চোরাশিকারী, অসাধুদের হাতে না পড়ে, সেজন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করেছে বনদপ্তর। ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন গ্রাম ও বনবসতি এলাকায় মাইকিং চালানো হচ্ছে নিত্যদিন। বন্যপ্রাণী ও বন্যপ্রাণীর দেহাংশ দেখলেই বনদপ্তরকে খবর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জল নামতেই এবার জঙ্গলের ভেতর কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার হিসেবনিকেশ শুরু করছে বনদপ্তর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.