সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: কৃষ্ণনগরের ছাত্রী ঈশিতা মল্লিক খুনে টিআইডি প্যারেড হল কৃষ্ণনগর জেল সংশোধনাগারে। সেখানে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অভিযুক্তকে শনাক্ত করেন নিহত ছাত্রীর মা কুসুম মল্লিক। উপস্থিত ছিলেন ঈশিতার বাবা দুলাল মল্লিকও। দুপুরের পর সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কুসুমদেবী ও দুলালবাবু অভিযুক্ত দেশরাজ সিংয়ের ফাঁসির শাস্তির দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে কৃষ্ণনগর মানিক পাড়ার ঈশিতা মল্লিককে গুলি করে খুনের ঘটনায় দোষীকে শনাক্তকরণের জন্য কৃষ্ণনগর সংশোধনাগারে টিআই প্যারেড করে পুলিশ। নিয়ে যাওয়া হয় নিহত ছাত্রীর বাবা ও মাকে। সেখানে অভিযুক্ত দেশরাজ সিংকে শনাক্ত করেছেন ছাত্রীর মা। প্রক্রিয়া শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঈশিতার মা কুসুম দেবী বলেন, “আমি মেয়ের খুনিকে চিনতে পেরেছি। দেখার পর আমি ভাবলাম একটা নিষ্পাপ মেয়েকে কীভাবে খুন করতে পারল। আমি খুনির কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি চাইছি।” বাবা দুলাল মল্লিক জানান, “পুলিশের তদন্তের প্রতি আমার ভরসা রয়েছে। আদালতের উপরও পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমি অভিযুক্তর ফাঁসির সাজা চাই।”
গত ২৫ আগস্ট কৃষ্ণনগরের মানিকপাড়ার বাসিন্দা ঈশিতা মল্লিককে খুন করেন তাঁর প্রেমিক দেশরাজ সিং। তদন্তকারীদের অনুমান, প্রেমে প্রত্যাখাত হয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে অভিযুক্ত। এই অনুমানের স্বপক্ষে বেশ কিছু তথ্যও পুলিশের হাত লেগেছে। খুনের কাণ্ড ঘটানোর পর উত্তরপ্রদেশ পালিয়ে যায় অভিযুক্ত দেশরাজ সিং। তার পরিবারের সাহায্যে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল দেশরাজ। তবে খুনের এক সপ্তাহ পর সোমবার ভোরে উত্তরপ্রদেশের গোপন ডেরা থেকে অভিযুক্ত দেশরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে আগেই গ্রেপ্তার হয়েছে দেশরাজের মামা। এদিকে ধৃত দেশরাজ সিংয়ের বাবা রঘুবিন্দরপ্রতাপ সিংয়ের বিরুদ্ধেও জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। পুলিশের নজরে রয়েছে দেশরাজের মাও। পুলিশ অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে সমস্ত তথ্য জানার চেষ্টা করবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.