Advertisement
Advertisement
Chhattisgarh

আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা! ছত্তিশগড় রওনার আগে পুলিশকে তথ্য দিলেন ‘আতঙ্কিত’ ওন্দার ঢাকিরা

আতঙ্কের পরিবেশ পরিবারে।

Dhakis give information to police before leaving for Chhattisgarh

ফাইল ছবি

Published by: Subhankar Patra
  • Posted:September 18, 2025 2:06 pm
  • Updated:September 18, 2025 2:06 pm  

অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: বাংলার শ্রমিক ‘ব্রাত্য’ হলেও পুজোয় ঢাকিদের বরাত কম নেই। 
ভিনরাজ্য থেকে আসছে প্রস্তাব। সেইমতো তৈরি হলেও আতঙ্ক কাটছে না তাঁদের। কারণ বাংলার শ্রমিকদের ভিনরাজ্যে হেনস্তার অভিযোগ। তাই ছত্রিশগড় যাওয়ার আগে ওন্দার ২২ ঢাকি তাঁদের আধার, ফোন নম্বর পুলিশকে দিয়েছেন। সেইসঙ্গে প্রয়োজনীয় খাবার ও জামাকাপড়ের সঙ্গে জরুরী পরিচয়পত্রও পুটলিতে গুছিয়ে দিয়েছেন স্ত্রী-ছেলেমেয়েরা। তবে প্রত্যেকেরই চোখে-মুখে আতঙ্ক কাটছে না কিছুতেই।

Advertisement

বিগত চারবছর ধরে উপরি রোজগারের আশায় ভিনরাজ্যে পাড়ি দেন বাঁকুড়ার ওন্দার থানার নতুন গ্রামের ২০-২২ জন ঢাকি। এবছরও বরাত এসেছে ছত্তিশগড় থেকে। সেখানেই ষষ্ঠী থেকে দশমী ঢাক বোল তুলবেন তাঁরা। সেই মতো ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন প্রশান্ত, মঙ্গল, বৈদ্ধিনাথ, অচিন্ত্য কালিন্দীরা। তাঁরা বলেন, “খড়গপুর থেকে ট্রেনে করে আমরা ছত্তিশগড় যাব। এরপর ১০ থেকে ১২টি মণ্ডপে ২২ জন ভাগ হয়ে যাব। ট্রেনে একেকজনের ভাড়া দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। পুজো উদ্যোক্তারা স্টেশনে গাড়ি করে নিয়ে যান। যে মণ্ডপে আমরা ঢাক বাজাব সেখানেই খাওয়া-দাওয়া থাকার জায়গা তাঁরাই দেন। দশমীতে প্রত্যেকে গড়ে ১৭ হাজার টাকা করে পাই।”

তবে শঙ্কিত অচিন্ত্য কালিন্দী বলেন, “আমরা তো প্রত্যন্ত গ্রামে থাকি। বাংলা ছাড়া অন্য ভাষা জানি না। ছত্তিশগড়ে ওই দুর্গাপুজো কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছি, যাতে হেনস্তার মুখে পড়তে না হয়। তবে পুজো কমিটিগুলি থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। এবছর ঢাক বাজাতে যাওয়ার সময় যদি লিখিত কোনও নথি পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া সম্ভব হয় তাহলে আমরা তা নিয়েই যাব।” অচিন্তর স্ত্রী চুমকি কালিন্দী ও মঙ্গলের স্ত্রী ময়না কালিন্দী চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। তাঁরা বলেন, “পুজোয় বাড়ির কর্তারা ভিনরাজ্যে গেলে বাড়তি উপার্জন হয়। পুজোর পর টাকা নিয়ে এলে ছেলেমেয়েদের জামাপ্যান্ট আর কয়েকমাস সংসারটাও ভালোভাবে চলে। কিন্তু যদি কোনও সমস্যা হয় ভীষণ আতঙ্কে রয়েছি।”

ভারতীয় ডোম সমাজ বিকাশ পরিষদ বাঁকুড়া জেলার কমিটির যুব সম্পাদক জিৎ কালিন্দী বলেন, “বাঁকুড়া জেলাজুড়ে কেউ মুম্বই, ছত্তিশগড়, নাগপুর, কানপুর, হরিয়ানা বিভিন্ন দিকে আমাদের ডোম সম্প্রদায়ের মানুষেরা যাচ্ছেন। বিগত বছরগুলির মতো আশা করছি এবছরও আমাদের কোনও অসুবিধা হবে না। কারণ পুলিশ তরফে সকলের তথ্য নেওয়া হয়েছে কারা কোথায় ঢাক বাজাতে যাবে সে বিষয়ে জানাতে। ৩০০ বেশি নামের তালিকা ইতিমধ্যে জেলা পুলিশের কাছে দিয়েছি। প্রত্যেকের আধার কার্ড, বাড়ির এবং প্রত্যেকের নিজস্ব নম্বর এসব তথ্য পাঠিয়েছি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যদি কোনও অসুবিধা বা কোনও সমস্যা হয় তাহলে যেন সরাসরি সেই মুহূর্তেই যোগাযোগ করা হয়।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement