Advertisement
Advertisement
Extra Marrital Affair

মেয়েকে ফেলে পরপুরুষের সঙ্গে পুরীতে গিয়ে আত্মহত্যা যুগলের! হোটেল থেকে উদ্ধার ২ জনের দেহ

বছর দুয়েক ধরে দু'জনের সম্পর্ক ছিল বলে জানিয়েছেন মৃতার স্বামী।

Deadbody of couple found in Puri hotel, assumed to kill self over extra marrital affair

প্রতীকী ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 15, 2025 10:42 pm
  • Updated:August 15, 2025 10:50 pm  

অর্ক দে, বর্ধমান: বছর দুই আগে একে অপরের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গত সপ্তাহে পরিবারকে বাপের বাড়ি যাওয়ার কথা বলে প্রেমিকের সঙ্গে পুরী বেড়াতে যান মহিলা। সেখানেই ঘটে বিপত্তি। পুরীর হোটেলেই উদ্ধার হয় যুগলের ঝুলন্ত দেহ। বর্ধমানের রায়নার তরুণীর ও তাঁর প্রেমিকের এহেন মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে রায়না থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

বছর দশেক আগে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার হরিহরপুত্র গ্রামের প্রশান্ত ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হয় বাঁকুড়ার সোনামুখীর তরুণী মিতালির। তাঁদের একটি কন্যাসন্তান আছে। গ্রামেই প্রশান্তর মুদিখানা ও তেলের ব্যবসা আছে। এমনিতে তাঁদের দাম্পত্য জীবন স্বাভাবিকই ছিল। দু’বছর আগে আচমকা মিতালি ঘোষ পাশের গ্রামের মাধবডিহির বাসিন্দা কুমারীশ ঘোষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। মিতালির স্বামী প্রশান্ত ঘোষ জানান, পড়শিদের কাছে এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে তিনি স্ত্রীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। স্ত্রী জানিয়েছিলেন, কুমারীশ তাঁকে মাঝেমধ্যেই বিরক্ত করে। এরপর প্রশান্ত কুমারীশের বাড়িতে বিষয়টি জানান। তখনকার মত ঝামেলা মিটে গেলেও কয়েকমাস আগে মিতালি ও কুমারীশ নিজেদের পুরনো সম্পর্ক ফের ঝালিয়ে নেন। ফোনে দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। বেশ কিছুদিন আগে হোয়াটসঅ্যাপে কুমারীশ ও স্ত্রী মিতালির একটি ছবি দেখতে পান প্রশান্ত। তাঁদের মেয়েও জানায়, ছবিটি মায়ের সঙ্গে কুমারীশের। বিষয়টি জানাজানি হতেই মিতালি ছবিটি মোবাইল থেকে মুছে দেন।

এরপর দিন সাতেক আগে মিতালি বাপের বাড়ি সোনামুখী যাচ্ছেন বলে রায়নার বাড়ি থেকে রওনা হন। তারপরই মোবাইলের সুইচ বন্ধ হয়ে যায়। তাঁকে ফোনে না পেয়ে প্রশান্ত শ্বশুরবাড়িতে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে বলা হয় যে মিতালি যাননি। এরপর বৃহস্পতিবার মিতালির স্বামী প্রশান্ত ঘোষের মোবাইলে ফোন আসে ওড়িশা পুলিশ পক্ষ থেকে। তাঁকে জানানো হয়, মিতালি ঘোষের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে পুরীর একটি হোটেলের ঘর থেকে। প্রশান্তবাবুর সন্দেহ, সোনামুখী যাওয়ার নাম করে স্ত্রী মিতালি সোনার গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে কুমারীশের সঙ্গেই পুরীতে গিয়েছিলেন। তারপরই এমন ঘটনা ঘটল।

মিতালির ভাই বৃন্দাবন ঘোষ বলেন, ”জামাই প্রশান্ত আমাদের বাড়িতে জানানোর পরই আমরা রায়না থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করি। পরে জানতে পারি, দিদি পুরীর একটি হোটেলে আছে। পুলিশকে সেই বিষয়টিও জানানো হয়।” তাঁর অভিযোগ, পুলিশ তৎপর হলে তাঁর দিদিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যেত।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement