Advertisement
Advertisement
Bangladesh

টাইটানিকের মতো দু’টুকরো হয়ে ডুবছে বাংলাদেশের বার্জ, ফ্লাই অ্যাশে প্রবল দূষণের আশঙ্কা সাগরে

বার্জটির ফ্লাই অ্যাশ জলে ফেলে সেটি হালকা করা হচ্ছে।

danger of pollution from fly ash of Bangladeshi barges in Sagar

চলছে উদ্ধারকাজ। নিজস্ব চিত্র।

Published by: Suhrid Das
  • Posted:February 14, 2025 9:15 pm
  • Updated:February 14, 2025 9:23 pm   

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ঠিক যেন টাইটানিকের মতো মাঝখানে ভাঙছে বাংলাদেশি বার্জ। গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের কাছে ঘোড়ামারা দ্বীপের কাছাকাছি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি ওই বার্জটি। ক্রমে সাগরের জলে ডুবতে থাকে সেটি। বার্জটি বিপুল পরিমাণ ফ্ল্যাই অ্যাশ নিয়ে যাচ্ছিল। ফলে জলের মধ্যে সেই ফ্লাই অ্যাশ মিশছে। সাগরের ওই এলাকার দূষণ কোন পর্যায়ে পৌঁছবে? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।

Advertisement

গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের কাছে ঘোড়ামারা দ্বীপের কাছাকাছি এসে মুড়িগঙ্গা নদীর চড়ায় ধাক্কা মারে বাংলাদেশি বার্জ ‘সি ওয়ার্ল্ড’। বার্জের পাটাতন ফেটে জল ঢুকতে শুরু করে ভিতরে। সাগর থানার পুলিশ খবর পেয়ে তড়িঘড়ি দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। উদ্ধার করা হয়, ওই বার্জটিতে থাকা ১২ জন বাংলাদেশি নাবিককে। ওই নাবিকদের গতকাল সন্ধ্যাতেই সাগরে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁরা এখন নিরাপদেই আছেন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বার্জটি উদ্ধারের জন্য কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের বিষয়টি নজরে আনা হয়েছে।

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ থেকে একটি বার্জ ঘটনাস্থলে এসেছে। এখনও বার্জটি সম্পূর্ণ ডুবে যায়নি। ডুবতে থাকা বার্জটিকে দড়ি দিয়ে টেনে চড়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলে। তবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বার্জটি অনেকটাই ডুবে গিয়েছে। ফলে কতটা সেটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে? সেই প্রশ্ন থাকছেই। বার্জটির ফ্লাই অ্যাশ জলে ফেলে সেটি হালকা করা হচ্ছে। ফলে বিপুল পরিমাণ ফ্লাই অ্যাশ জলে মিশছে। তেমনই মনে করা হচ্ছে। ওই এলাকার জলের রং বদলাতে শুরু করেছে। সম্পূর্ণ ফ্লাই অ্যাশ জলে দ্রবীভূত হলে দূষণ কোন পর্যায়ে যাবে? তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় ওয়াকিবহাল মহল।

মাছ ও জলজ প্রাণীদের জীবনহানির আশঙ্কাও রয়েছে। দূষণ কতটা ঠেকানো যাবে? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। ঘোড়ামারা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সঞ্জীব সাগর জানান, বার্জের ফ্লাই অ্যাশ নদীতে ফেলা হচ্ছে। ফলে নদীর দূষণের আশঙ্কাও থাকছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ