প্রতীকী ছবি
মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: ঋণের টাকা শোধ করতে পারছিলেন না। এদিকে পাওনাদাররা টাকার জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত নিজেকে শেষ করে দিলেন যুবক। মৃত্যুর আগে মোবাইলে ভিডিও করে পাওনাদারদের নামও বলে গেলেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের বড়গাছিয়া সন্ধ্যাবাজার এলাকায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃত যুবকের নাম রাকেশ চন্দ্র।
জানা গিয়েছে, রাকেশ চন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রমোটারি ও কন্ট্রাকটারির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। একাধিক কাজও করেছিলেন। কিন্তু সব কাজের সম্পূর্ণ পেমেন্ট পাচ্ছিলেন না বলে খবর। সেজন্য তিনি মানসিক চাপের মধ্যেও ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে। এলাকার এক চিকিৎসকের থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ধার হিসেবে নিয়েছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। টাকা আটকে যাওয়ায় সেই ঋণও রাকেশ শোধ করতে পারছিলেন না। এদিকে পাওনা টাকার জন্য কাশী মাইতি নামে ওই চিকিৎসক তাঁকে বেশ কয়েক বার ফোন করেছিলেন। রাকেশের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ বারে বারে ঋণ পরিশোধ করার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। টাকা পরিশোধ করতে না পারায় শেষপর্যন্ত নিজেকে শেষ করে দেন তিনি!
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ঘরে ছিলেন ওই যুবক। এদিন সকালে তাঁর গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনা জানাজানি হতে ওই চিকিৎসকের নার্সিংহোমে গিয়ে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, “আমি ওর থেকে টাকা পেতাম, লিখিতভাবে সেই টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল গত আগস্ট মাসে। টাকা পরিশোধ না করায় আমি তাঁকে বেশ কয়েকবার ফোন করেছি। যদিও সে ফোন ধরেনি। এর বেশি আমি কিছু জানি না।” পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.