Advertisement
Advertisement

হাতখরচ বাঁচিয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষদের অর্থ সাহায্য কলেজ পড়ুয়াদের

কী বলছেন কলেজ পড়ুয়ারা?

College students save their pocket money to help backward people
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 8, 2018 7:13 pm
  • Updated:July 8, 2018 7:13 pm   

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ফেসবুকের মাধ্যমে অনেকেই আজ সমাজের অবহেলিত পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। পিছিয়ে পড়া মানুষদের সমাজের মূল স্রোতে নিয়ে আসার জন্য ফেসবুকের কয়েকজন মিলে গড়ে তুলেছে ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ নামে একটি সংস্থা। এই দলের ৯০ শতাংশ বন্ধুই স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া। ২০১৫-র সেপ্টেম্বরে সংস্থার প্রেসিডেন্ট কুণাল রায় তার এক বন্ধুকে নিয়ে ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-এর যাত্রার সূচনা করেন। এখন এরাই সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভরসা দিচ্ছেন।

Advertisement

বৃদ্ধা মাকে চুলের মুঠি ধরে মারধর মদ্যপ ছেলের, ঝাড়গ্রামের ঘটনায় সমালোচনার ঝড় ]

রবিবার হুগলির দাদপুর থানার বেলমুড়িতে শান্তিধাম নামে একটি অনাথ আশ্রমের ২১ শিশুর জন্য ফেসবুক বন্ধুরাই তাঁদের ‘মা’ পূর্ণিমা বিশ্বাসের হাতে সারা মাসের চাল, ডাল, তেল, আলু তুলে দিলেন। ফ্যান, এলইডি ল্যাম্প, বেডশিট থেকে শুরু করে শিশুদের পড়াশুনোর জন্য খাতা, পেন পেনসিল তুলে দেন বন্ধুরা। এদের মধ্যে কয়েকজন হলেন অভিষেক পাল, অর্ণব বিশ্বাস, কুণাল রায়, পৌলমী দত্ত, অঙ্কিতা, ঈশিতা, সম্রাজ্ঞী, রিষা ও সোহিনী।

যাত্রী সেজে গাড়ি লুটের চেষ্টা, বর্ধমান যাওয়ার পথে চালককে খুন ৪ দুষ্কৃতীর ]

এই সব স্কুল ও কলেজ পড়ুয়ারা তাদের দৈনন্দিন হাত খরচ থেকে কিছুটা করে টাকা বাঁচিয়ে রাখে অসহায় পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য। অনেকে আবার তাদের কন্যাশ্রীর টাকায় এইসব শিশুদের জীবনে আলোর দিশা দেখানোর জন্যও ব্যয় করেছেন। এইসব বন্ধুরা বলেছেন, “আমাদের জীবনে অনেক সময়ই অনেক বেহিসাবি খরচ করি। বাস্তবে যার কোনও প্রয়োজন নেই। অথচ এই খরচ থেকেই বাঁচিয়ে যদি সেই অর্থ কোনও শিশুর সুন্দর জীবন গড়তে সাহায্য করা যায় তবে সমাজটাও সুন্দর হয়ে উঠবে। নিজেদের জীবনকেও সার্থক মনে হবে।” তাই কোনও কিছু পাওয়ার আশায় নয়, শুধু জীবনের আনন্দটা সকলে ভাগ করে উপভোগ করা ও একসঙ্গে চলার জন্যই তাঁরা আজ এই পথে চলা শুরু করেছেন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস