সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড় বড় গম্বুজ। কাঠের দরজা, জানালা। মাথার উপর কড়িবগড়া। এখন কিছুটা আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। তবে স্বাধীনতার ইতিহাস আষ্টেপৃষ্টে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের চন্দনপুর গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে। বংশধররা বহন করেছে ইতিহাস।
বাংলার কোনায় কোনায় ছড়িয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস। বিশেষ করে মেদিনীপুরে কালে কালে জন্মেছেন বীর সংগ্রামীরা। ইংরেজদের নজর থেকে বাঁচতে তৈরি করেছিলেন গোপন ডেরা। যেখানে মিটিং, সংগ্রামীদের প্রশিক্ষণ দিতেন বিপ্লবীরা। তেমনই একটি আখড়া তৎকালীন মেদিনীপুরের চন্দনপুর গ্রামের চৌধুরী বাড়ি।
সালটা ১৯৪২। দেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের জোয়ার। স্বদেশী আন্দোলনের জমাট বেঁধেছে অবিভক্ত মেদিনীপুরের মাটিতে। এই জেলার চন্দনপুর গ্রাম ছিল বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পীঠস্থান। তৎকালীন সংগ্রামী নেতা বলাই লালদাস মহাপাত্র ছিলেন স্বদেশী আন্দোলনের দাপুটে নেতা। তিনি নতুন সংগ্রামের নতুন জোয়ার আনেন। চৌধুরী বাড়িতে বসতো গোপন আখড়া। পুলিন রায় চৌধুরী,যামিনী পাহাড়ী, বিজয় মণ্ডলের মতো নেতারা আসতেই এই বাড়িতেই। কাঁথি থেকে জমিদার বাড়ির আখড়ায় আসতেন প্রমথ বন্দোপাধ্যায়, ঈশ্বর মাল, সুধীর দাস প্রমুখ। জমিদারি বাড়ির মন্দিরে চলতো গোপন মিটিং। দেওয়া হত লাঠি খেলার প্রশিক্ষণ। বিপ্লবীরা কার্যকলাপ চালাচ্ছেন তা জানতে পেরে সমুদ্র উপকূলবর্তী রামনগরের এই বাড়িটি পুড়িয়ে দিয়েছিলেন ইংরেজরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.