সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগে পর্যন্ত মুকুল রায়ের (Mukul Roy) দলবদল নিয়ে বিস্তর জল্পনা চলেছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এবার ছেলের পালা। তবে, শুভ্রাংশু রায়ের (Subhranshu Roy) দলবদলের এই জল্পনা কারও মনগড়া নয়। তিনি নিজেই এক ফেসবুক পোস্টে নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনার বীজটি বপন করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের ফেসবুক ওয়ালে বিজপুরের বিধায়ক হঠাত সমর্থকদের উদ্দেশে একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন। রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছাবসর নিলে কেমন হয়? র এই পোস্ট উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বিজেপির অন্দরে রীতিমতো অস্বস্তি তৈরি করে ফেলেছে। আসলে বাবার হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেও শুরু থেকেই বিজেপির আচরণে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না শুভ্রাংশু। মাঝে একবার বিজেপি ছেড়ে তাঁর পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে যাওয়া নিয়েও জল্পনাও ছড়িয়েছিল। যদিও সেসব এখন অতীত। শুভ্রাংশুর বাবা মুকুল রায় এখন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় পদাধিকারী। সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সুতরাং, দলত্যাগের প্রশ্ন হয়তো এখনই উঠছে না। তাহলে কেন এমন পোস্ট?
আসলে বাবা দলের বড় পদ পেলেও শুভ্রাংশু নিজে এখনও সে অর্থে গেরুয়া শিবিরের রাজ্যস্তরের বড় কোনও পদ পাননি। সূত্রের খবর, তাতেই দলের প্রতি খানিকটা অসন্তুষ্ট বীজপুরের বিধায়ক। আর তাছাড়া, গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁকে দলের স্থানীয় নেতারা নানাভাবে চাপে রাখার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ। শুভ্রাংশুর রাজনৈতিক প্রতিপত্তিকে লঘু করে দেখানো হচ্ছে বহু ক্ষেত্রে, সেটাও তাঁর অসন্তোষের অন্যতম কারণ। তাছাড়া, দলের অন্দরে তাঁকে নিয়ে কয়েকজন বিরূপ মন্তব্যও করেছে সম্প্রতি। শোনা যাচ্ছে, দিন কয়েক আগে ওই বীজপুর এলাকাতেই নাকি দলের এক জরুরি বৈঠকে ডাকা হয়নি সেখানকার বিধায়ককে। যা নিয়ে শুভ্রাংশুর ক্ষোভ সপ্তমে চড়েছে। সেই অপমানের ফলশ্রুতি হিসেবেই এই ফেসবুক পোস্ট হতে পারে। কারণ যাই হোক, এতে যে বিজেপির অস্বস্তি বেড়েছে তা বলাই যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.