জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বিশ্বকর্মা পুজোর রাতে এক পুলিশকর্মীকে পিটিয়ে দাদাগিরির অভিযোগ উঠল গেরুয়া শিবিরের এক নেতার বিরুদ্ধে। তিনি আবার বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। পুলিশকে মারধরের অভিযোগ পেতেই তৎপরতার সঙ্গে তদন্তে নেমে পরেরদিনই ওই বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার তাঁকে বনগাঁ আদালতে পেশ করা হয়। আক্রান্ত পুলিশকর্মী বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার সূত্রপাত বিশ্বকর্মা পুজো অর্থাৎ বুধবার রাতে। কলকাতা পুলিশে কর্মরত কৌশিক দেবনাথের বাড়ি বনগাঁর রামকৃষ্ণপল্লিতে। অভিযোগ, ওইদিন রাতে তিনি বনগাঁ থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে চাপাবেড়িয়া এলাকায় একদল মদ্যপ যুবকের সঙ্গে বচসা বাঁধে। সেসময় চাপাবেড়িয়ার বিজেপি নেতা গোবিন্দ ভট্টাচার্য ওই যুবকের পক্ষ নিয়ে কৌশিকের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। শুরু হয় মারধর। অভিযোগ, কৌশিকের চোখে, বুকে, মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। মারধরের ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন ওই যুবকরাও। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে গিয়ে কৌশিককে উদ্ধার করে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন তিনি।
রাতেই বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া ঘনিষ্ঠ ওই বিজেপি নেতা গোবিন্দ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে বনগাঁ থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে গাইঘাটা থানা এলাকা থেকে গোবিন্দকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার তাঁকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্ত গোবিন্দর দাবি, বিজেপির সঙ্গে যুক্ত বলে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেনই না। এ ব্যাপারে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের দাবি, অভিযুক্ত গোবিন্দ এলাকায় অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। আর বিধায়ক এসব সমাজবিরোধীদের সঙ্গে নিয়েই চলেন। বিধায়ককেও গ্রেপ্তার করা উচিত বলে দাবি জানান বিশ্বজিৎবাবু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.