Advertisement
Advertisement
মদন মিত্র

‘এ পরাজয় আমার’, হারের দায় নিজের কাঁধেই নিলেন মদন

হারের পর আর ব্যক্তিগত কাদা ছোঁড়াছুড়ি নয়, বরং রাজনৈতিক সৌজন্যতার ছাপ রাখলেন মদন।

Bhatpara bypoll: Madan Mitra eats humble pie, concedes defeat
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:May 23, 2019 5:33 pm
  • Updated:May 23, 2019 5:40 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকদিন উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়েই কেটেছে সময়। একে অপরের দিকে কাদা ছোঁড়াছুড়ি, এলাকায় অশান্তি তো ছিলই। ভোটের দিনও একাধিকবার অশান্ত হয় ভাটপাড়া। অবশেষে বৃহস্পতিবার উপনির্বাচনের ফলাফলে পরাজিত হলেন তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র। এবং হারের পর আর ব্যক্তিগত কাদা ছোঁড়াছুড়ি নয়, বরং রাজনৈতিক সৌজন্যতার ছাপ রাখলেন মদন। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের দাবাং নেতা অর্জুন সিংয়ের ছেলে পবন সিং ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ভোটে জয়ী হয়েছেন। পরাজয় স্বীকার করে এদিন গণনাকেন্দ্রের বাইরে মদন মিত্রর প্রতিক্রিয়া, ‘মানুষের জন্য আগেও কাজ করেছি। এবারও কাজ করতে চেয়েছিলাম। এই পরাজয়ের দায় একমাত্র আমার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার উপর ভরসা রেখেছিলেন। ভাটপাড়ার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি ব্যর্থ হয়েছি। এই পরাজয় আমার।’

Advertisement

গত ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে কামারহাটি কেন্দ্রে হেরে যাওয়ার পর বেশ কয়েক বছর ভোটের রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিং শিবির বদলে লোকসভা ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এই কেন্দ্রে উপানির্বাচনের প্রয়োজন হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে মদন মিত্রর নাম ঘোষণা করেন। বারাকপুর কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী অর্জুনপুত্র পবন সিংকে প্রার্থী করে দল। তার পর বিভিন্ন সময়ে প্রচারে মদন মিত্র ও অর্জুন সিংয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে বেশ কয়েকবার। তারপর ১৯ মে উপনির্বাচনের দিন একাধিকবার বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূল প্রার্থী। ভোটগ্রহণের মধ্যেই উত্তপ্ত হয় ভাটপাড়া। মুড়ি-মুরকির মতো বোমাবাজি, ভাঙচুর, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এলাকায়। অর্জুন-মদনের সমর্থকদের সংঘর্ষে কুরুক্ষেত্রে পরিণত হয় ভাটপাড়া।

এখানেই শেষ নয়। ভোট মিটে গেলেও গত দুদিন ধরে অশান্ত থাকে ভাটপাড়া। অশান্ত থাকে এলাকা। দফায় দফায় সংঘর্ষ, বোমাবাজি, বোমা বাঁধতে গিয়ে একজনের মৃত্যু, রেল অবরোধ-সহ বিভিন্ন কারণে জেরবার হয় প্রশাসন। বিশাল পুলিশ বাহিনী-কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেও পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা যায়নি। তখনও একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপের পালা চলতে থাকে অর্জুন ও মদনের মধ্যে। কিন্তু আজ, বৃহস্পতিবার ভোটগণনার দিন অন্য চিত্র দেখা গেল গণনাকেন্দ্রের বাইরে। একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সৌজন্য বিনিময় করতে দেখা যায় অর্জুন ও মদনকে। প্রতিপক্ষের বাবাকে শুভেচ্ছা জানান মদন মিত্র। রাজনৈতিক সৌজন্যতার পরিচয় দিয়ে গত কয়েকদিনের বৈরিতা ভুলে এদিন হারের সমস্ত দায় নিজের কাঁধে তুলে নেন মদন। জানান, এলাকার জন্য কাজ করতে চেয়েছিলেন। জনমত তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েছে। তা শিরোধার্য। ভবিষ্যতে ফের তাঁকে ভোটের ময়দানে দেখা যাবে নাকি এই পরাজয় তাঁর রাজনৈতিক জীবনে দাঁড়ি টানবে তা এবার সময়ই বলবে। যাই হোক, শেষবেলায় তাঁর গলায় সৌজন্যতার সুর অন্যদের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে তা বলা বাহুল্য।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement