Advertisement
Advertisement
Balurghat

মুখেই রাজ্যের পুজো অনুদানের বিরোধিতা, এবার নিজের কেন্দ্রে ‘সাংসদ শারদ সম্মান’ শুরু করলেন সুকান্ত

পুজো কার্নিভ্যালের ধাঁচে আলাদা 'শোভাযাত্রা প্রতিযোগিতা'রও আয়োজন করেছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।

Balurghat MP Sukanta amjumdar arrange for prize in durga puja

নিজস্ব ছবি

Published by: Anustup Roy Barman
  • Posted:September 17, 2025 8:47 pm
  • Updated:September 17, 2025 8:47 pm  

রাজা দাস,বালুরঘাট: এবার দুর্গা পুজোয় ‘সাংসদ শারদ সম্মান’ এবং ‘শোভাযাত্রা প্রতিযোগিতা’ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। বরাবর রাজ্য সরকারের পুজোর অনুদানের বিরোধিতা করা সুকান্তর এই উদ্যোগ এখন রাজনৈতিক মহলে চর্চার বিষয়।

Advertisement

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আটটি এবং উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার নিয়ে মোট নয়টি ব্লক রয়েছে বালুরঘাট লোকসভায়। এই লোকসভার সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। বিজেপির এই সাংসদ এবার বদলেছেন নিজের অবস্থান। বারবার রাজ্য সরকারের পুজো অনুদানের বিরোধিতার পর এবার তিনি নিজেই বালুরঘাট লোকসভা এলাকায় শুরু করলেন ‘সাংসদ শারদ সম্মান’ এবং ‘শোভাযাত্রা প্রতিযোগিতা’।

এই দু’টি পৃথক প্রতিযোগিতায় ফর্ম বিলি চলছে বালুরঘাটে সাংসদের নিজের দপ্তর থেকে। চলবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সাংসদের দপ্তর থেকে পাওয়া খবর থেকে জানা গিয়েছে সদর বালুরঘাটে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হিসেবে পুরস্কৃত করা হবে পুজো উদ্যোক্তাদের। এছাড়া ব্লক ভিত্তিক প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরস্কৃত করা হবে। জানা গিয়েছে, সকল নির্বাচিত ক্লাব অথবা উদ্যোক্তাদের আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রথম স্থানাধিকারীকে দেওয়া হবে ৩০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পুজো কমিটি পাবে ২০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থানে থাকা পুজোর উদ্যোক্তারা পাবেন ১০ হাজার টাকা।

এখানেই শেষ নয়। জানা গিয়েছে পুজোর ভাসানের দিন একটি কার্নিভ্যালও করা হবে। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের সুষ্ঠু এবং দেশাত্মবোধক বিষয় ইত্যাদি তুলে ধরতে আহ্বান করা হয়েছে। এই শোভাযাত্রায় প্রথম স্থানাধিকারীদের তিন লক্ষ টাকা, দ্বিতীয়কে দুই লক্ষ টাকা এবং তৃতীয় স্থানাধিকারীকে এক লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া আরও ১০ জন অংশগ্রহণকারীকে ১০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে। সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা বাংলার পুজোর প্রকৃত সংস্কৃতি তুলে ধরতে চাই। বাংলার সংস্কৃতি এমন নয় যে আমি মদ খেয়ে নাচতে নাচতে যাবো। পুজোতে বাংলার হাজার বছরের সংস্কৃতিকে যারা তুলে ধরবে তাঁদের আমরা আর্থিক পুরস্কার দেবো। তিনি জানিয়েছেন, “একবার যখন শুরু করেছি, আমি যতদিন সাংসদ এই পুরস্কার চালানোর চেষ্টা করব।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement