সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামপুরহাটে আদিবাসী ছাত্রী হত্যাকাণ্ডে এবার জনতার রোষে স্কুলের প্রধান শিক্ষক। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর উপর চড়াও হন স্থানীয়রা। চলে বেধড়ক মারধর। উদ্ধার করতে গেলে ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িতেও। স্থানীয়দের অভিযোগ, ধৃত শিক্ষক মনোজ পালের স্বভাব সম্পর্কে জানতেন প্রধান শিক্ষক। তা সত্ত্বেও নাকি কোনওদিন কোনও পদক্ষেপ করেননি। উলটে তাঁকে আড়াল করতেন বলেই অভিযোগ।
আদিবাসী ছাত্রী হত্যাকে কেন্দ্র করে বুধবার থেকেই চর্চায় রামপুরহাট। গতকালই অভিযুক্ত শিক্ষক মনোজ পালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে সে। এরপরই প্রকাশ্যে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। মৃতার প্রতিবেশীদের দাবি, বরাবরই নাকি মৃতাকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিত মনোজ। টিউশনে না গেলে, স্কুলে না গেলে অন্যদের কাছে খোঁজ খবর নিত। একপর্যায়ে নাবালিকাকে রীতিমতো উত্যক্ত করতে শুরু করে সে। এমনকী বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু ছাত্রী রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয় সে। এরপরই খুনের ছক বলে অনুমান।
স্থানীয়দের দাবি, যে স্কুলের শিক্ষক মনোজ, সেখানকার হেডস্যর গোটা বিষয়টা জানতেন। শিক্ষকের স্বভাবও তাঁর অজানা ছিল না। সেই কারণেই স্থানীয়দের রোষে এবার প্রধান শিক্ষক। তিনি পদক্ষেপ করলে নাবালিকার এই পরিণতি হত না বলেই দাবি করে এদিন সকালে স্কুলে চড়াও হন স্থানীয়রা। টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসা হয় প্রধান শিক্ষককে। মারধরের জেরে ছিঁড়ে যায় জামা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে কোনওক্রমে উদ্ধার করে আক্রান্তকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.