সুবীর দাস, কল্যাণী: কর্মসূত্রে নয়ডায় গিয়ে নদিয়ার (Nadia) তরুণীর রহস্যমৃত্যু। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। ঘটনার নেপথ্যে তিন যুবক বলেই দাবি মৃতের পরিবারের। নয়ডা পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ মৃতার বাবার।
নদিয়ার চাকদহ শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নরেন্দ্রপল্লি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন সায়নী দাস। বিবিএ পাশ করার পর চাকরিসূত্রে পাড়ি দেন নয়ডায়। সেখানকার গৌতম বুদ্ধনগরের একটি আবাসনের ১৮ তলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন তিনি। ২০ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় তাঁদের ইনস্টিটিউটের একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। কদিন চাকদাহের বাড়িতে থাকার কথা থাকলেও অফিসের কাজের কারণে পরেরদিন ভোরের বিমানে ওই তরুণী নয়ডায় ফিরে যান। অভিযোগ, ওইদিন রাতেই অর্থাৎ ২১ ফেব্রুয়ারি ফ্ল্যাট থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরেরদিন পরিবারের কাছে খবর এলে তাঁরা নয়ডায় যান।
পরিবারের দাবি, মেয়ের মৃতদেহের অবস্থান দেখে কোনওভাবেই মনে হচ্ছিল না সেটা আত্মহত্যা। ফ্ল্যাটের মূল দরজাও খোলা ছিল। এমনকী পুলিশ ঠিকমত তদন্ত পর্যন্ত করেনি বলেই অভিযোগ। এর পর থেকে মেয়ের মৃত্যুর বিচার চেয়ে নয়ডার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় একমাস ধরে ঘুরে বেড়ান সায়নীর বাবা-মা। একপ্রকার হতাশ হয়ে তাঁরা চাকদহে ফিরে আসেন গত ১৯ মার্চ।
নয়ডা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন মৃতার বাবা। তিনি জানান, ফ্ল্যাটের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশ নেয়নি। ঘটনার পর তরুণীর ফ্ল্যাট থেকে পরিচিত তিন যুবককে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় সিসিটিভি ফুটেজে। ঘটনার পর তাঁরা চাকরি এবং বাসস্থান পর্যন্ত ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ। তার পরও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। সেখানকার সাংসদ, বিধায়কের দ্বারস্থ হয়েও কাজ হয়নি বলেই অভিযোগ। তরুণীর মায়ের দাবি, মেয়ের কোনও মানসিক চাপ বা কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। তাঁরা দোষীদের শাস্তি চান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.