অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: তোলাবাজি ও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাঁকরাইল থানার এক অস্থায়ী হোমগার্ডকে অপসারণ করল হাওড়া সিটি পুলিশ। সাঁকরাইল থানার অভিযুক্ত অস্থায়ী হোম গার্ড বরুণ দাসকে অপসারণের চিঠি ধরায় হাওড়া সিটি পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁকরাইলের বাসিন্দা বরুণ দাস ২০১৮ সাল থেকে সাঁকরাইল থানায় অস্থায়ী হোমগার্ডের কাজ করছিলেন। বরুণবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, যাঁরা নতুন ফ্ল্যাট-বিল্ডিং কিংবা দোকান তৈরি করছেন, তাঁদের ফোন করে বরুণবাবু প্রায়ই টাকা দাবি করতেন। এমনকী রাতে সাঁকরাইল থানা এলাকার বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে নাইট ডিউটি থাকত তাঁর। সেই কাজেও তিনি চূড়ান্ত অবহেলা করতেন বলে অভিযোগ ওঠে।
সম্প্রতি হাওড়া সিটি পুলিশের কাছে এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের হয়। তার পরই বরুনবাবুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। এই প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত হোম গার্ডের বিরুদ্ধে আইনানুক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’এদিকে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অস্থায়ী হোমগার্ড বরুণ দাস সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের সোনালি দাসের স্বামী। তাঁকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই তাঁর স্বামীকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে বলে বুধবার অভিযোগ করেন সোনালী দাস। পুলিশের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তিনি আইনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।
সোনালী দেবীর অভিযোগ, এক আত্মীয়ের জমি দেখভাল করার দায়িত্ব ছিল তাঁদের ওপর। সম্প্রতি বরুণবাবু সেই জমি পরিষ্কার করতে গেলে এক স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে জমির সীমানা নিয়ে খানিক বচসা হয়। সোনালীদেবী বলেন, ‘‘সেই সময় কেউ তাঁদের কথাবার্তার ভিডিও রেকর্ড করে। এরপর আমার স্বামীর নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক প্রোফাইল খুলে সেই ভিডিওটি পোস্ট করে দেয়। আমাকে কালিমালিপ্ত করতে কেউ বা কারা আমার স্বামীকে ফাঁসিয়েছে।’’ তবে ঠিক কারা তাঁকে কালিমালিপ্ত করতে চেয়েছে তা স্পষ্ট করেননি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.