শুক্রবার রামপুরহাট আদালতে ডায়মন্ড হারবার থেকে ধৃত আব্বাসউদ্দিন মোল্লা। ছবি- হাবিব তনভির
নন্দন দত্ত, বীরভূম: নলহাটিতে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আজমল হোসেন ও সাহেব আলি খানকে। ডায়মন্ড হারবার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আব্বাসউদ্দিন মোল্লাকে। গত ৯ মে তাদের গ্রেপ্তার করে প্রথমে আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৩ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ শুক্রবার ধৃতদের ফের রামপুরহাট আদালতে তোলা হয়েছিল। এদিন আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে সরকারপক্ষের আইনজীবী সৈকত হাঁটি ও এসটিএফের তরফে জানানো হয়েছে।
এদিন আদালতে জানানো হয়েছে, আব্বাসউদিন মোল্লার সঙ্গে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের যোগসাজস পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করতেন। দেশ বিরোধী কার্যকলাপের কথাবার্তাও চলত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। এসটিএফের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃত আজমল হোসেন পেশায় হাতুড়ে ডাক্তার। ফলে ওই ব্যক্তির সঙ্গে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ছিল। বহু মানুষ তার কাছে যেতেন। সেই সুযোগে সাধারণ মানুষদের মধ্যে দেশ বিরোধী বিষয় প্রচার করা হত বলে অভিযোগ। মুরারই থানার চাপড়ার বাসিন্দা সাহেব আলি খানও সাধারণ মানুষদের মধ্যে একইভাবে দেশবিরোধী প্রচার করত বলে অভিযোগ। তাঁদের সঙ্গে দেখা করার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসতেন বলেও দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। জঙ্গিদের আনাগোনাও ছিল বলে সন্দেহ করা হয়েছে। এসটিএফ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু জানিয়েছেন, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। আরও তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।
আজমল হোসেনের বাড়ি থেকে একটি যন্ত্র পাওয়া গিয়েছে। সেটি একটি মোডেম বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ওই মোডেমের মাধ্যমেই বাইরের দেশের লোকজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত বলে অনুমান। যদিও ধৃত ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের লোকেরা এই অভিযোগ মানতে চাননি। রোগীদের চিকিৎসার জন্য ওই যন্ত্র ব্যবহার করা হয় বলে দাবি। ধৃতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কাদের কাছে টাকা পাঠানো হত, কীভাবে টাকা আসত? সেসবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবির যোগসাজস আছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। ধৃতদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে অন্যান্য কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে এদিন আদালতে জানানো হয়েছে। বিচারক ধৃতদের আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.