Advertisement
Advertisement
Kali Puja 2025

১৪ হাত উচ্চতার সিমেন্টের কালীপ্রতিমা, অমাবস্যার রাতে ভিড় জমান ভক্তরা

সিমেন্টের মূর্তি তৈরির পিছনেও আছে ইতিহাস।

14 hand long kali idol made with cement prepared for puja
Published by: Kousik Sinha
  • Posted:October 17, 2025 6:33 pm
  • Updated:October 17, 2025 6:33 pm   

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বাংলাজুড়ে রয়েছে কালীর একাধিক রূপ! উচ্চতায় কোনওটি আবার ১৪ হাত, তো আবার কোনওটি ১৬ হাত। তা বলে সিমেন্টের তৈরি কালী! অবাক হচ্ছেন তো? দীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে ১৪ হাত উচ্চতার এই সিমেন্টের তৈরি কালী প্রতিমা দেখতেই ভিড় জমান ভক্তরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের দয়ারামপুরে অধিষ্ঠিত এই দেবী। বিশালাকার এই কালীপ্রতিমার পুজো ঘিরে ইতিমধ্যেই সাজ সাজ রব। চলছে জোর প্রস্তুতি। এই পুজোকে ঘিরে রয়েছে পৌরাণিক কাহিনি। এমনকী সিমেন্টের মূর্তি তৈরির পিছনেও আছে ইতিহাস।

Advertisement

একসময় গ্রামে কোনও বড় উৎসবই হত না। কালীপুজোর রেওয়াজ তো ছিলই না, হত না কোনও দুর্গাপুজোও। দুর্গাপুজো কিংবা কালীপুজোর সময় ঠাকুর দেখতে গ্রামবাসীদের যেতে হত কয়েক কিলোমিটার দূরের কোনও গ্রামে। গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দারা পরিকল্পনা করলেন গ্রামেই হবে শক্তিরুপিণী মা কালীর আরাধনা। তাহলে আর গ্রামের মানুষকে শক্তির আরাধনায় গ্রামের বাইরে পা দিতে হবে না। যেমন ভাবা তেমনই কাজ। সিদ্ধান্ত হল গ্রামেই হবে কালীপুজোর আয়োজন।

সে প্রায় ১০০ বছর আগের কথা। গ্রামবাসীদের অর্থ সাহায্যে তৈরি হল মাটির দেওয়াল আর খড়ের ছাউনি দেওয়া মন্দির। দেবী কালীর মূর্তিপুজো শুরু হল সেই মন্দিরে। বছর যতই ঘুরেছে ক্রমেই বেড়েছে দেবীর উচ্চতাও। একসময় ১৬ হাত উচ্চতার দেবীমূর্তির আরাধনা শুরু হল গ্রামে। কিন্তু সমস্যা তৈরি হল দেবীর বিসর্জনের সময়। বিসর্জনে বৈদ্যুতিক ও টেলিফোনের তারে বাধাপ্রাপ্ত হল প্রতিমা। উচ্চতা কমল দেবীমূর্তির। শুরু হল ১৪ হাত উচ্চতার কালীর আরাধনা। ৭৯ বছর আগে তৈরি হল বিশাল উচ্চতার মানানসই স্থায়ী মন্দির। প্রতিষ্ঠা হল ১৪ হাতের মাটির দেবীমূর্তি। এখন সেই মন্দিরেই কালীপুজোয় ১৪ হাত উচ্চতার দেবী শক্তির আরাধনায় মেতে ওঠেন আট থেকে আশি গ্রামের আপামর নারী-পুরুষ। বর্তমানে এখানে দেবীর বিসর্জন হয় না। কারণ এখনকার ১৪ হাতের দেবীমূর্তি সিমেন্টের তৈরি। প্রতি বছরই কালীপুজোর আগে নতুন রঙের প্রলেপ পড়ে মূর্তিতে। নানা অলংকারে ভূষিতা হন দেবী।

অমাবস্য্যায় কালীপুজোর রাতে এখানে ১৪ হাতের কালী প্রতিমা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে কয়েক হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হয়। আলোকমালায় সেজে ওঠে মন্দির চত্বর। পুজো হয় বেশ ধুমধাম করেই। বিতরণ করা হয় অন্নভোগও। এবছরও সেসব কিছুর কোনও ব্যতিক্রম হবে না বলেই জানিয়েছেন মন্দির কমিটির সদস্যরা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ