সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতে রাজনৈতিক চরিত্র বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলাচ্ছে কূটনৈতিক অঙ্কও। শেখ হাসিনার পতনের পর মহম্মদ ইউনুসের জমানায় বাংলাদেশ এবং আমেরিকার সমঝোতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামে পৌঁছেছে মার্কিন সেনার একটি দল। যদিও মার্কিন সেনাকর্মীদের পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না বলে খবর। কেন? এর পিছনে কোন অভিসন্ধি? পদ্মাপাড়ে এর আগে দেখা গিয়েছে চিনের গতিবিধি। সব মিলিয়ে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে দিল্লির।
একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ সেপ্টেম্বর ইউএস-বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রামে অবতরণ করেন মার্কিন স্থলবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর প্রায় ১২০ জন সদস্য। সমুদ্র উপকূলবর্তী শহরের রেডিসন ব্লু হোটেলে থাকার ব্যবস্থা হয় তাঁদের। এর জন্য হোটেলের ৮৫টি ঘরে বুক করা হয়েছিল। যদিও খবর ছড়ায়, ওই হোটেলে থাকলেও তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হয়নি হোটেলের রেজিস্ট্রারে। সত্যিই কি তাই? কেন? কোন উদ্দেশ্য?
বলা হচ্ছে, যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতেই বাংলাদেশে আগমন মার্কিন সেনা দলটির। ২০ সেপ্টেম্বর তাদের দেশে ফিরে যাওয়ারও কথা। বিষয়টিকে দুই দেশের রুটিন সামরিক মহড়া ভাবা হলেও একাধিক কারণে উদ্বেগ বাড়ছে নয়াদিল্লির। কী সেই কারণ? জুলাই বিপ্লবে দেশত্যাগের পর হাসিনা দাবি করেন, আমেরিকা সামরিক ঘাঁটি তৈরি করবে বলে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ দখলদারি চেয়েছিল। যদিও তিনি রাজি হননি। এই কারণেই তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র হয়েছে। অন্যদিকে ইউনুসের সঙ্গে আমেরিকার দহরম মহরম বেড়েই চলেছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে চট্টগ্রামের কাছেই সেন্ট মার্টিন দ্বীপ।
সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে মার্কিন ফৌজ সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দিকে এগোচ্ছে। তাহলে কি সেখানেই ঘাঁটি নির্মাণের তোড়জোড়! অন্যদিকে মায়ানমারে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণে জুন্টার সঙ্গে কথা বলছে চিন। পাশাপাশি ভারত সীমান্তে চিকেন স্নেকের কাছে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণে ইউনুস সরকারের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে ফেলেছে বেজিং। বলা বাহুল্য, এই পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক চাপ বাড়ছে ভারতের উপর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.