Advertisement
Advertisement
Sheikh Hasina

সব অপরাধের নিউক্লিয়াস! মানবতা বিরোধী মামলায় আদালতে হাসিনাকে তুলোধোনা আইনজীবীর

এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন প্রাক্তন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

'Sheikh Hasina is the nucleus of all crimes', says Cheif Prosecutor during trial of July protest against Hasina adn others two

ফাইল ছবি

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 3, 2025 4:46 pm
  • Updated:August 3, 2025 4:47 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার থেকে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী মামলা শুরু হল। শুরুতেই তাঁকে সমস্ত অপরাধের ‘নিউক্লিয়াস’ বলে চিহ্নিত করেছেন সরকারি আইনজীবী মহম্মদ তাজুল ইসলাম। এদিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ১ নং এজলাসে মামলা শুরু হয়। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শুরুতেই বলেন, ”শেখ হাসিনা সব অপরাধের নিউক্লিয়াস।” তাঁর আগে ট্রাইব্যুনালে মামলা বিষয় বক্তব্য পেশ করে অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ”এই মামলার আসামিদের প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ সাজা চাই।”

Advertisement

২০২৪ সালের জুলাইয়ে গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আরও দু’জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে – প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মামলার বিভিন্ন নথি নিয়ে আদালতের কক্ষে প্রবেশ করেন প্রসিকিউটর ফারুক আহমেদ। শেখ হাসিনার তরফে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মহম্মদ আমির হোসেনও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দিনগুলোতে এই মামলার সাক্ষীরা তাঁদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। এদিন সকালে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। তবে অন্য দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান এবং তখন থেকে সেখানেই রয়েছেন তিনি। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও তখন থেকে পলাতক। এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন প্রাক্তন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তাঁকে রাজসাক্ষী হিসেবে গ্রহণ করেছে আদালত। মোট ৮১ জন সাক্ষী থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ ২৫ থেকে ৩০ জনকে হাজির করা হবে ট্রাইব্যুনালে।

এছাড়া মামলায় প্রধান নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মারণাস্ত্র ব্যবহার করে হত্যার নির্দেশ, উসকানি ও প্ররোচনা, আবু সাঈদ হত্যা, চাঁনখারপুলে ৬ জনকে হত্যা ও আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মোট ৫টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ