Advertisement
Advertisement
Bangladesh

১৪ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে কড়া লকডাউন, বন্ধ হচ্ছে বিমান পরিষেবা

বাংলাদেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ।

Corona: Bangladesh to reimpose lockdown from April 14 | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 11, 2021 4:14 pm
  • Updated:April 11, 2021 4:14 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনের পথে হাঁটতে চলেছে শেখ হাসিনার সরকার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভিলেন মিথেন, আকাশে গ্রিনহাউস গ্যাসের আধিক্য, দূষণের শীর্ষে বাংলাদেশ]

প্রশাসন সূত্রে খবর, একমাত্র জরুরি পরিষেবা ছাড়া রপ্তানি খাতের পোশাক শিল্প-সহ সব কলকারখানা, শপিং মল, দোকানপাট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এই লকডাউনে বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল বন্ধের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এ মফিদুর রহমান রবিবার সংবাদমাধ্যমে বলেন, “চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে লকডাউন সংক্রান্ত সরকারের নির্দেশিকার উপর। কঠোর লকডাউনের কারণে যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে যাত্রীদের বিমানবন্দরে পৌঁছতে সমস্যা হবে। ফলে দেখা যাবে যাত্রীরা হয়তো তাদের নির্ধারিত ফ্লাইট ধরতে পারছেন না।” এর আগে গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী সাত দিনের বিধিনিষেধ (লকডাউন) আরোপ করে সরকার। এতে অভ্যন্তরীণ রুটে সব ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এদিকে, লকডাউন নিয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে, রপ্তানি খাতের পোশাক ও বস্ত্রশিল্প মালিকরা। পোশাক শিল্প মালিকরা বলছেন, প্রতিযোগী দেশগুলির মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা খোলা রাখতে চান তাঁরা। এ প্রসঙ্গে নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি-র প্রথম সহ-সভাপতি মহম্মদ হাতেম সংবাদমাধ্যমে বলেন, “আমরা চাই জীবন ও জীবিকা সচল রাখতে হবে। এই সময়ে লকডাউনে কারখানা বন্ধ হলে পোশাক শিল্পে বড় বিপর্যয় আসবে। শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হবে। কারণ, ইদের আগে ক্রেতাদের বরাত মোতাবেক পণ্য সরবরাহের ব্যাপক চাপ রয়েছে।” পোশাকশিল্প মালিকদের আরেক প্রভাবশালী সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি মশিউল আজম সজল জানান, ইদের আগে এই মুহূর্তে লকডাউনে কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকরা বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু তাঁরা এখন কারখানায় থাকলে অন্ততপক্ষে প্রতিদিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজে নিয়োজিত থাকছেন। কারখানাগুলো এই সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলছে। প্রতিদিন তাপমাত্রা চেক করে কারখানায় ঢুকছেন শ্রমিকরা। আবার শ্রমিকরা কারখানায় গেলে, তাদের জীবন ও জীবিকার বিষয়টিও সচল থাকছে।

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মোদি বিরোধী হিংসার ঘটনায় হেফাজত নেতা মামুনুলের বিরুদ্ধে মামলা]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement