সুকুমার সরকার, ঢাকা: তোলাবাজির ভিডিও নয়, হানিট্র্যাপ চক্রের ভিডিওই প্রাণঘাতী হয়ে উঠল বাংলাদেশের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের জীবনে। খুনিদের অতি দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হবে। শনিবার ঢাকার অদূরে গাজীপুরের মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার ড. মহম্মদ নাজমুল করিম খান। এদিকে গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে ধৃত অন্যতম আসামি স্বাধীন। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর একথা জানিয়েছে এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব।
র্যাব সূত্রে খবর, স্বাধীন জানিয়েছে যে তাদের চক্রের এক নারী সদস্যকে বাদশাহ নামের এক ব্যক্তি বিরক্ত করছিল। এই ঘটনার পর চক্রের বাকি সদস্যরা বাদশাহকে ছুরি নিয়ে ধাওয়া করে। এই দৃশ্য দেখে ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক তুহিন। চক্রের সদস্যরা তা দেখে ফেলায় তাঁর উপর হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। জিএমপি কমিশনার জানান, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় সরাসরি আটজনের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে সাতজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রধান আসামি কেটু মিজানের নামে ১৫টি মামলা রয়েছে। কেটু মিজানের স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি, হানিট্র্যাপে জড়িত। ধৃত আল আমিনের নামে ২টি মামলা। স্বাধীনের বিরুদ্ধেও ২টি মামলা। এছাড়া শাহজালাল, ফয়সাল হাসান, সাব্বিরদের বিরুদ্ধেও বহু মামলা রয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত আরেক আসামি আরমান এখনও পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সারা দেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে শনিবার। ফরিদপুরে সাংবাদিকরা মুজিব সড়কে একঘণ্টা ধরে এই কর্মসূচি পালন করেন। এতে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী সভাপতিত্ব করেন। দেশের দক্ষিণ জনপদ জেলা পিরোজপুরের কাউখালিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.