Advertisement
Advertisement
Dhaka

বস্ত্র শ্রমিকদের সঙ্গে সেনা-পুলিশের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ঢাকা! গুলিবিদ্ধ ২

কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন শ্রমিকরা।

Army-police clashes with textile workers in Dhaka
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:October 31, 2024 5:09 pm
  • Updated:October 31, 2024 5:09 pm   

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বস্ত্র শ্রমিকদের সঙ্গে সেনা ও পুলিশ বাহিনীর সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্র ঢাকা। গুলিবিদ্ধ দুই শ্রমিক। একটি স্থানীয় পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানীর রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ করেন শ্রমিক। পুলিশ ও সেনা আন্দোলনকারীদের সরাতে এলে সংঘর্ষ বেঁধে যায় দুপক্ষের মধ্যে।

Advertisement

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ ঢাকার মিরপুর ১৪ নম্বরের কচুক্ষেত এলাকায় ঝামেলার সূত্রপাত হয়। সেখানে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শ্রমিকরা। রাস্তা আটকে সেখানেই বসে পড়েন। যান চলাচল কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ ও সেনা বাহিনী। তাদেরকে দেখেই ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন শ্রমিকরা। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর শুরু করেন। তার পরই সেনা ও পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন শ্রমিকরা। তখনই গুলিবিদ্ধ হন আল আমিন (১৮) ও ঝুমা আক্তার (১৫) নামে দুজন। তাঁদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিনের ঘটনার পর শ্রমিকেরা জানান, মৌসুমি গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ গতকাল রাতে হঠাৎই কারখানা বন্ধ করে দেয়। সেজন্য আজ সকালে শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থানে বসেন। তখন আশপাশের সব কারখানাও ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তার পরই সকলে একসঙ্গে রাস্তায় বসে পড়েন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। দুজনের গুলি লাগে। জানা গিয়েছে, এদিন তুমুল উত্তেজনার পর বেলা ১১টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এনিয়ে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি কাজী গোলাম মোস্তফা বলেন, শ্রমিকেরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়েছে। এক পর্যায়ে পোশাক শ্রমিকেরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্তব্যরত আধিকারিক লিমা খানম জানান, ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে লাগা আগুন নিভিয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ